অনিয়ম-দুর্নীতি শিক্ষক ও কর্মচারীদের হয়রানী করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের প্রতিবাদের কুড়িগ্রাম উলিপুরে মাদ্রাসা প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

অনিয়ম-দুর্নীতি শিক্ষক ও কর্মচারীদের হয়রানী করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের প্রতিবাদের কুড়িগ্রাম উলিপুরে মাদ্রাসা প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুপুরে উলিপুর-রাজারহাট সড়কে কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌর ১ নং ওয়ার্ড বাকরের হাট ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রার শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও অভিভাবকদের এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছে প্রিন্সিপাল, শিক্ষক ও কর্মচারীদের নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। পাশাপাশি মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে পারে না, তাই আমরা মাদ্রার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এর অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল চালিয়ে যাব । এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকা এই মিছিলে যোগদান করেন। অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার বিশাল আকারের গাছ বিক্রি জমি বন্ধক শিক্ষক নিয়োগের টাকা দেড় কোটি টাকারও বেশি  আত্মসাৎ, ভূয়া উপবৃত্তির টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগে, তার অপসারণের দাবীতে- সকল স্তরের জনগণ মানববন্ধন করেছেন।
অভিভাবক-এলাকাবাসী। গত ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায়, মাদ্রাসার মাঠ থেকে শুরু করে বাজারে মিছিল করে রাস্তা অবরোধ করে আধা ঘন্টা, পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে প্রতিষ্ঠানে ফিরে যায়, তাৎক্ষণিক প্রতিষ্ঠানে ফিরে এসে সাধারণ ছাত্ররা দেখে প্রিন্সিপাল রুমে, তাৎক্ষণিক প্রিন্সিপাল কে আটকে রেখে রুমে তালা লাগিয়ে দেয়, দশ ঘন্টা অবরোধ করে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা । পরে সেনাবাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ করেন, এসময় শিক্ষার্থীরা প্রিন্সিপালের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরেন।  তাদের এ দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাবেন না বলে জানান। অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ। অর্থ আত্মসাৎ, ভূয়া উপবৃত্তি। মাদ্রাসার ফান্ডে স্লিপের টাকা আত্মসাৎ। রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়।

প্রিন্সিপাল অপসারণ  করা না হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন হুমকির মধ্যে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। তারা বলেন । নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক মাদ্রাসার শিক্ষকরাও নানান অভিযোগ করেন। তারা বলেন গত কয়েক বছরে বাইরের বকাটে লোকজন দিয়ে ক্ষমতার দাপটে প্রতিষ্ঠানের জমি, নিয়োগের টাকা, সহ দেড় কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করে । এবং তাদের আচরণে এলাকাবাসী তীব্র নিন্দা জানায়। অভিযোগ করেন সহকারি শিক্ষক রাজু বিএসসি, তিনি বলেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ১৭ মাস প্রতিষ্ঠানে না এসেও  টাকা ঠিকই তুলে খেয়েছেন ।

শুধু তাই নয় তার নিজের জামাই সভাপতি, নিজের মেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষিকা, এবং টিয়ার সদস্য, নিজের ভাগিনা শিক্ষক, অফিস সহকারী, পিয়ন মাদ্রাসার সকলেই নিজের রক্তের লোক । নিজের ছেলে মেয়ে এবং প্রতিষ্ঠানটি নিজের সম্পত্তি মনে করেছিলেন তিনি ।
অভিভাবক, মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম তিনি বলেন, একটা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক যদি এত দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের কোথায় লেখাপড়া করাবো। বিভিন্ন সিমের নাম্বার ব্যবহার করে টাকা তুলে আত্মসাধ করেন ।

তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে পাশ কাটে চলে । তার আচার-আচরণে আমরা অভিভাবক বৃন্দ লজ্জিত। আমরা অভিভাবকদের  দাবী তাকে এই প্রতিষ্ঠানে দেখতে চাই না। আামাদের সকল
অভিভাবক দের দাবী তাকে দ্রুত অপসারণ চাই। আমরা চাই বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দ্রুত  আমলে নিয়ে আইনইনুক ব্যবস্থা গ্রহন করেন । এমন বেহাল দশায় দিন দিন ঝড়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে রাজনৈতিক প্রভাব দেখান। তবে এসব রাজনৈতিক প্রভাবকে তোয়াক্কা না করে  এলাকাবাসী বলেন  এসব অনিয়ম দুর্নীতি খতিয়ে দেখে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কে দ্রুত সময়ে অপসারণ করতে হবে।
এলাকাবাসী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীর নানান অভিযোগ শুনে তাদেরকে আশ্বাস দেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *