(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি-
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতে চেয়ারম্যান সচিবের অনুপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে রাজনৈতিক আলোচনা সভা করেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন কমলনগর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দ।২২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সদস্য সচিব মো. রেদোয়ান হোসেন কে ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক আলোচনা সভা করতে দেখা গেছে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টে দেখা যায় খোলামেলা অফিস কক্ষের এক রুমে চেয়ারম্যান, সচিব এর কার্যালয় ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম। সেখানেই কোন নিরাপত্তার কথা বিবেচনা না করে দলীয় কার্যক্রমের অংশ হিসাবে রাতের বেলায় রাজনৈতিক আলোচনা সভা করছে উপজেলা মৎসজীবী দলের নেতারা। স্থানীয়দের দাবি পরিষদে ওয়ারিশ সনদ, জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন, ইউনিয়ন পরিষদের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের খুব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ অফিসের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা না করে রাতের বেলা ইউনিয়ন পরিষদে অফিস কক্ষে রাজনৈতিক আলোচনা সভা করা ঠিক হয়নি।
ভিডিওতে দেখা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের উত্তর পশ্চিম কোণে রয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার কার্যক্রমে চলা কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, জন্ম, মৃত্যু নিবন্ধনের কপি, আরো অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, তার পাশেই দেখা যাচ্ছে স্টিলের আলমারি, এবং রুমের পূর্বপাশে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ডানে বক্তব্যরত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে উপজেলা মৎস্যজীবীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন আবগানী , বামে বসে দলের কার্যক্রমে অংশ হিসেবে বিভিন্ন লেখালেখি করছে উপজেলা মৎস্যজীবী দলে সদস্য সচিব মো. রেদোয়ান হোসেন।
সাহেবের হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বলেন, হুমায়ুন নামে একজন আমাকে কল করে আপনার পরিষদের সামনে একটা আলোচনা সভা করবো। কিন্তু তারা আমাদের অফিস কক্ষে, আমাদের চেয়ারে বসবে এরকম কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
উপজেলা মৎস্যজীবী দলে আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান এর কাছে রাজনৈতিক সভার বিষয়ে জানতে চাই তিনি জানান, দিনের যেকোন সময় রাজনৈতিক সভা করা যায়। রাজনৈতিক কাজে ইউনিয়ন পরিষদও চেয়ারম্যানের চেয়ার ব্যবহারে আইনে কোন বাধা নেই।
উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরীর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমলনগরে মৎস্যজীবী নামে কোন সংগঠন নেই। কেউ বিএনপির সহযোগী সংগঠন দাবি করে কোন অপকর্ম করলে তার দায় উপজেলা বিএনপি নিবে না।