নুরুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় র্যাব-১৫ কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালতের সহায়তায় অভিযানে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে দুই খাবার হোটেলকে ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা এবং একটি পানির ফ্যাক্টরিতে ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বাংলাদেশে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। ‘‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’’ এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, জঙ্গী দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ও মাদকসহ দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ সকল অপরাধ দমনে প্রতিনিয়ত অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করছে।
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও অভিযান পরিচালনা করে থাকে। একই সাথে বিরাজমান অপরাধ দমনে বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমান আদালত এর সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৫.৩০ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ঢাকা এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জিনিয়া জান্নাত এর সহায়তায় র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়ন সদর এর একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজারের সদর থানাধীন হোটেল মোটেল জোন এবং পাহাড়তলী এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত মোবাইল কোর্ট অভিযানে বর্ণিত এলাকায় রুপসী বাংলা রেষ্টুরেন্ট এর ম্যানেজার মোঃ মনিরুজ্জামান (৫১) ও ব্লু ওয়েব রেষ্টুরেন্ট এর ম্যানেজার মোঃ সাইফুল হুদা (৪৩) কে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৮(গ) ধারা মোতাবেক খাদ্যপণ্য উৎপাদনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খাদ্যে ভেজালের কারণে সর্বমোট ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা এবং নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৯ ধারার ৫৮ দন্ডবিধি, মৎস ও পশুখাদ্য আইন ২০১০ এর ৪ ধারার ২০ দন্ডবিধি মোতাবেক ফ্যাক্টরীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, দেশীয় পণ্যে বিদেশী স্টিকার ব্যবহারের কারণে আপন ড্রিংকিং এর ম্যানেজার মোঃ আনসার খান (৩৫) কে ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করানো হয়।