জামাল কাড়াল বরিশাল ব্যুরো প্রধান।
খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার।বরিশালে স্থানীয়দের অভিযোগ, গত আট মাসে খুচরা বাজারে এলপি গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি ৫৮১ টাকা বেড়েছে। যেখানে সরকারিভাবে বেড়েছে ৪৭৫ টাকা। এদিকে দাম বৃদ্ধির জন্য ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা দুষছেন একে অপরকে।বর্তমানে ১২ কেজির একটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের সরকার নির্ধারিত দাম ১৪৭৪ টাকা। তবে বরিশালে সেই সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে ১৫৮০ টাকায়। গত সাত মাসে দফায় দফায় বেড়েছে এলপি গ্যাসের দাম।ভুক্তভোগীরা বলছেন, এমনিতেই বছরে কয়েকবার বাড়ছে গ্যাসের দাম। তার ওপর সরকার নির্ধারিত দামও মানা হচ্ছে না নানা অজুহাতে। বিক্রেতারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে বলে দাবি করছে ক্রেতারা।স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমরা আসলে বিপদে রয়েছি। ডিলাররা ন্যায্যদামে বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতারা নিচ্ছে অস্বাভাবিক দাম। কোথাও কোনো মনিটরিং না থাকায় পরিস্থিতি প্রিতিনিয়ত বেসামাল হয়ে যাচ্ছে।’এদিকে এলপি গ্যাসের বাড়তি দাম নিয়ে খুচরা বিক্রেতা ও ডিলাররা একে অন্যকে দুষছেন। ডিলারদের দাবি, চাহিদার চেয়ে যোগান থাকায় খুচরা বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দাম বাড়ায় ডিলাররা। তারা পরিকল্পনা করে গ্যাসের দাম বাড়ায়। আমাদের করণীয় কিছুই থাকে না। এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দর বাড়ায়। আমরা লাভ করি কম।
গ্যাস ডিলার রফিউল আলম ও মাহফুজুর রহমান জানান, বর্তমানে গ্যাসের সরবরাহ কম, কোম্পানিগুলো চাহিদা মতো গ্যাস দিচ্ছে না। এর মধ্যে ডিলাররা নির্ধারিত মূল্যে গ্যাস সরবরাহ করলেও নাগালের বাইরে রয়েছে খুচরা বিক্রেতারা। ভোক্তা বা মনিটরিং টিমের তৎপরতা বাড়ালে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।