![](https://ltvnews24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বিশেষ প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার পূর্বধলায় শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলার সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
গত ৮ (ফেব্রুয়ারি)বৃহস্পতিবার উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের নৈগাঁও গ্রামে সরকারী হালট পরিমাপের সময় উপজেলা সার্ভেয়ারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নির্দেশে সার্ভেয়ার হাদিউল ইসলাম বাদী হয়ে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তারও করে।
সার্ভেয়ারের মামলার প্রেক্ষিতে ৬ দিন পর নৈগাঁও গ্রামের মো. শাহীনের স্ত্রী মোছা. হোরে মদিনা শ্লীলতাহানী ও বসত ঘরের টিন ভাঙ্গার অভিযোগ এনে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. হাদিউল ইসলাম, নৈগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহ, সহকারী শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ ওরফে জজ মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম সরকার ও নৈগাঁও গ্রামের আঃ রাশিদের বিরুদ্ধে ১৪ (ফেব্রুয়ারি) আদালতে মামলা দায়ের করেন।
নৈগাঁও গ্রামের স্থানীয়রা জানান, কেন সম্মানিত শিক্ষকগণ, সরকারি কর্মচারী ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বানোয়াট ও হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। সরকারি কর্মচারীর উপর হামলা করে মামলা থেকে বাচার জন্য, শাহিন স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করে আবার ভুয়া মানববন্ধন করানো হয়েছে। এই ধরনের মিথ্যা মামলা খুবই নেক্কার জনক নাটকী ঘটনা।
তাছাড়াও গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলার সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে মিথ্যা ভিত্তিহীন ভুয়া মামলা বলে আখ্যায়িত মন্তব্যকারীরা।
এমনকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর আইডি থেকে একটি মন্তব্যে বলা হয়েছে, “মনে হচ্ছে শ্লীলতাহানীর মামলা সাজানো মিথ্যা মামলা। সার্ভেয়ার ওপর হামলা জন্য সার্ভেয়ার মামলা করেছে তাকে হয়রানি করার জন্য এলাকার সম্মানিত শিক্ষকগণ কে সহ আসামি করে এই মামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে