জিএমপি পূবাইলেপাওনাদারদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন।

  • সুরুজ্জামান রাসেল
  • গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি:

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানা এলাকায় পাওনাদারদের তার প্রাপ্য টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য অভিনব কায়দায় পাওনা দারদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন।

জানা যায়, পাওনাদারের প্রাপ্য টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে নিজের গোয়ালের গরু ছোট ভাই কে দিয়ে চুরি করিয়ে বড় ভাই হাতে নাতে আটক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে লুৎফর রহমান শিকদার এর বিরুদ্ধে।
জিএমপি পূবাইল থানার ৪১ নং ওয়ার্ড এর অন্তর্গত বাড়ই বাড়ি গ্রামের আমান শিকদারের ছোট ছেলে লুৎফর সিকদারের নিকট বসুগাও গ্রামের আনোয়ার পাঠান, আবুল হোসেন পাঠান – পিতা – এলাহী পাটান, জুয়েল পাঠান – পিতা – আবুল হোসেন পাঠান, সুতারা খাতুন – স্বামী মৃত – ফিরুজ পাঠান এদের কাছ থেকে নগদ ৪ লক্ষ ও মুদি মালামাল বাবদ সাইত্রিশ হাজার পাঁচশ টাকা পাবে যা তিন মাসের জন্য একটি খোলা স্ট্যাম্পে লিখিত করে ধার ও বাকি নেয়। কিন্তু বছর খানেক পেরিয়ে গেলেও টাকা দেওয়ার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি লুৎফর ও তার পরিবার। সে লক্ষ্যে ১৮ মার্চ দুপুর ২ ঘটিকার সময় টাকা প্রাপ্তি ব্যক্তিগণ টাকা চাইতে আসলে লুৎফর শিকদার টাকার নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে বললে টাকা প্রাপ্তির দাতাগণ লিখিত স্ট্যাম্প দেখান। তখন ঐ প্রমাণ লুৎফর শিকদার হাতে নিয়ে কৌশলে ছিঁড়ে ফেলে দেয় এবং বলে তারা তার কাছে কোনো টাকা পাবে না এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে পাওনা দারদের ফিরিয়ে দেয়। তখন ভুক্তভোগী পাওনাদাররা পূবাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যে লুৎফর শিকদার ও তার ভাই আলামিন শিকদার – তাদের নিজ ঘরের তালা ভেঙ্গে, আসবাবপত্র এলোমেলো করে এবং নিজ গোয়ালের গরু ছেড়ে অন্যত্র নিয়ে পাওনাদারদের ফাঁসানোর চেষ্টার কালে পূবাইল থানার এস আই মারফত ও তার টিম এসে আলামিন শিকদার কে গরু সহ হাতে নাতে ধরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদে আলামিন জানায় পাওনাদারদের ফাঁসানোর জন্য তারা এসব নাটক সাজিয়ে ছিলো। পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে লুৎফর সিকদার পালিয়ে যায়। দুই ঘন্টা খোজাখুজি চেষ্টায় লুৎফর শিকদারকেও ধরে পূবাইল থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *