টেকনাফে আইন শৃংখলা কমিটির সভায় বক্তারা–মাদক পাচার রোধকরা নাগেলে আইন শৃংখলাপরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশংখা

  • জামালউদ্দীন- টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।

মাদকের ভয়াবহতা,নিত্যপন্য ও জালানী দ্রব্যসামগ্রী পাচার,মাদক মামলার শীর্ষ আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে,চাজ’শীট থেকে আসামিরা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হওয়া,সাবরাং নয়াপাড়া নাফ নদী ৩ নং গেইট ও একই ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়ক সাগর উপকূলের মুনডার ডেইল সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মাদক ঢুকে এবং নিত্য পণ্যসামগ্রী পাচার, সাগর উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের বডডেইল মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ঘাট দিয়ে অকটেন, ডিজেল সহ নিত্যপন্য সামগ্রী ফিসিংবোট যোগে মিয়ানমারে বেপরোয়া পাচার, সাবরাং লেজির পাড়া ও আচারবনিয়া পাড়া এ দুই পাড়ায় মাদকের আধিপত্য নিয়ে চলছে দুই গ্রুপের মধ্যে রশি টানাটানি। লেজির পাড়া মাদক মামলার শীর্ষ মাদক কারবারি ফয়েজ বাহিনীর প্রধান ফয়েজ মাদকের পলাতক আসামী এলাকায় মাদক পাচার ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বেপরোয়াভাবে।
অপরদিকে হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও উপকুলীয় বাহার ছড়া ইউনয়নে অপহরণ চক্রের অপহরণ বাণিজ্য নাফনদীর সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে নিত্যপ্রযোজনীয় পণ্যসামগ্রী মিয়ানমারে পাচারওপার থেকে মাদকের চালান নিয়ে আসার কথা মাসিক আইন শৃংখলা সমন্বয় সভায় স্থান পেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়না।
এছাড়াও পেট্রোল পাম্পে অকটেন ও জালানি পরিমাপে প্রতারণা, টমটম গাড়ি ও সিএনজি গাড়ি যোগে অপহরণ ও অস্ত্র সরবরাহ,সড়কের উপর লবণ লোড আনলোড ও নাফ নদীর উপকূলের চিংড়ি ঘের ফের ইজারার আবেদন সহ চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিজিবি,কোস্ট গার্ড ও মাদকদ্রব্য ৯৩ লাখ,৭৪ হাজার ৩০ টাকার ৪৪ মামলার বিপরীতে ৩৫ আসামি কে আটক করেছে।
এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জব্দকৃত মালামালের মূল্য তালিকা না থাকায় এ তথ্য আইন শৃংখলাকমিটির সভায় সংযুক্ত করা হয়নি।
টেকনাফ উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভা ২০ মাচ’ সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আদনান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনা করেন,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আখতার মিলি,টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ উসমান গনি, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাকেরুল ইসলাম,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বিহারী,সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন, সাবরাং ইউনিয়ন আঃলীগ সভাপতি সোনালী, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহীর হোসেন এম এ, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ও বিজিবি প্রতিনিধি। বক্তারা বলেন,মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সহিংসতা ও যুদ্ধেরে কারণে দু দেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছ। যার কারণে টেকনাফ সীমান্তের বরাদ্দের নিত্যপণ্য ও জালানী মিয়ানমারে পাচার হয়ে যাচ্ছে এবং বিনিময়ে ঢুকছে মাদকের বড় বড় চালান। সভাপতি সমাপনী বক্তব্যে বলেন, চোরাচালান দমন এবং মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আনদোলন গড়ার আহবান জানান। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের আইন শৃংখলা কমিটির সদস্য,বিজিবি,কোস্ট গার্ড,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আইন শৃংখলা কমিটির সভায় মাদক পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা নাগেলে উপজের আইন শৃংখলা আরো অবনতি হবে বলে আশাংকা প্রকাশ করছেন বক্তারা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *