স্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে অবৈধ ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে আল আমিন ফার্মেসী। জেনারেল হসপিটালের অভ্যন্তরে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ আল-আমিন ফার্মেসি উচ্ছেদে
দীর্গ ২১ বছর ধরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাধায়ক তা বাস্তবায়ন করেনি।
আল আমিন ফার্মেসী উচ্ছেদ করতে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে
আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন মেসার্স এস আর এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকারী নোয়াখালীর শ্রেষ্ট করদাতা মেসার্স শাহীন ফার্মেসী ও রেস্টুরেন্টর মালিক চরম বৈষম্যের শিকার ভুক্তভোগী হাসান মনসুর শাহীন। এ ব্যাপারে তিনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা যায় ২ টি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী নোয়াখালী জেলার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ও জেলার সর্বোচ্চ করদাতা বিগত ২০০৩ সালে সরকার অনুমোদিত স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের (স্বা/প.কম/হাস ৩/১(৮)২০০৩/৮০) স্বারকের অধীনে সম্পূর্ন নিয়ম নীতি অনুসরণ পূর্বক উক্ত ২টি প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত জামানত প্রদান করে বরাদ্ধ প্রাপ্ত হন হাসান মনসুর শাহীন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্য যে, ২০০৪ইং সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহাঙ্গীর চৌধুরীর ঘুষের ৫ লক্ষ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মেসার্স এস আর এন্টারপ্রাইজের অধীনে মেসার্স শাহীন ফার্মেসী ও রেস্টুরেন্ট স্থাপনে নির্মানাধীন কাজ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়। কিন্তু মালিক হাসান মনসুর শাহীন দোকানের দখল বুঝে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেও সুষ্ঠু কোন বিচার পাননি। এতে তিনি চরম হতাশ হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। (যাহার নং-৯১৬০/২০০৬) উক্ত রিটে তার পক্ষে যৌক্তিক ডাইরেকশন দিলেও দীর্গ ২১ বছর ধরে তা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাধায়ক বাস্তবায়ন করেননি।
২০০৬ইং সালে সেনা সমর্থিত তত্ববধায়ক সরকারের সময়ে অবৈধভাবে পরিচালিত আল-আমিন ফার্মেসী এবং আল-আমিন এন্টারপ্রাইজ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহিঃর্ভূতভাবে শুধুমাত্র পূণঃআবেদনের মাধ্যেমে গোপনে একই সম্পাদকের ২টি স্থানীয় পত্রিকায় কোটেশন দেখিয়ে সম্পূর্ণ নিয়ম বহিঃর্ভূতভাবে দরপত্র কার্য সম্পদন করেন। যাহা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। উক্ত দাখিলকৃত ৩টি দরপত্রের সাথে সংযুক্ত মেয়াদ উর্ত্তীন ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাগ লাইসেন্স বির্হীন জাল টিন ও ভ্যাট সনদ, সম্পূর্ণ ভূয়া ব্যাংক সচ্ছলতা সনদ এবং সত্যায়নকারীর সিল ও স্বাক্ষর জাল। যাহা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাগরিকা নাসরিনের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে। (যাহার স্মারক নং-স্বা/প.কম/হাস:-৩/৮-২২/০৫/অংশ-২/০৪, তারিখ: ০৫/০১/২০০৯ইং )।
পরবর্তীতে ২০০৮সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর (২৩/০৯/২০০৮ইং) মেসার্স এস আর এন্টারপ্রাইজের মালিক হাসান মনসুর শাহীন দোকান বরাদ্ধের বাস্তবায়ন এবং অবৈধভাবে স্থাপিত “আল-আমিন ফার্মেসী ও আল-আমিন এন্টারপ্রাইজের উচ্ছেদের বিষয়ে আবেদন করেন। রায়ে তৎকালীন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একদিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহনের (২৪/০৯/০৮ ইং/স্মারক নং২০৮) নির্দেশ প্রদান করিলেও অদ্যাবধি তা প্রতিফলিত হয়নি।
উল্লেখ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বৈধ বরাদ্ধ, স্বাস্থ্য সেবা কমিটির অনুমোদন, তদন্ত কমিটির রির্পোট, মহামান্য হাইকোর্টের ডাইরেকশন রিট পিটিশন নং-৯১৬০/২০০৬ এর আদেশ, জিপি মতামত এবং মন্ত্রনালয়ের ডাইরেকশন কার্যকরের ৯টি নির্দেশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১০ দিনের মধ্যে দোকানের বাস্তব দখল বুঝিয়ে দিয়ে মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবহিত করার নির্দেশনা থাকিলেও তা অদ্যবধি বাস্তবায়ন করেননি জেনারেল হসপিটাল কতৃপক্ষ ( যাহার স্মারক নং-(অধিঃ/প্রশা/৮/ফার্মেসী-রেস্টুরেন্ট বরাদ্ধ/২০০৯/২৬৬০, তাং ১৫/১২/২০১১ইং)। মহামান্য হাইকোর্টের ডাইরেকশন বাস্তবায়নের লক্ষে মন্ত্রনালয় কতৃক ৯টি আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিগত ১৫ বছরের কর্মরত ৬ জন তত্ত্বাধায়কের কেউই তা বাস্তবায়ন করেন নাই। অবৈধ টেন্ডারের মাধ্যমে আল আমিন ফার্মেসীকে বরাদ্ধ দেওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে চাকরিচুত্য করা হলেও অবৈধ আলআমিন ফার্মেসী বহাল তবিয়তে রয়েছে। তিনি ন্যায় বিচার চেয়ে দীর্ঘ ২১ বৎসর যাবৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসক নোয়াখালী, সিভিল সার্জন নোয়াখালী, পুলিশ সুপার নোয়াখালী, সুধারাম মডেল থানা, মহামান্য হাইকোর্ট ও যৌথ বাহিনীসহ দূনীতি দমন কমিশনের প্রত্যেকটি দপ্তরে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও দোকানের চুক্তি অনুযায়ী দোকান বুঝে পাননি। এভাবেই তিনি দীর্ঘ ২১ বৎসর ধরে নির্যাতিত এবং বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।
আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে বরাদ্দ আল-আমিন ফার্মেসী ও আল-আমিন এন্টারপ্রাইজের উচ্ছেদে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চরম নির্যাতিত, দীর্ঘ ২১ বছরের বৈষম্যের শিকার, দেশের শীর্ষ করদাতা মেসার্স শাহীন ফার্মেসীর কর্নধার হাসান মনসুর শাহীন।
এ বিষয়ে আল আমিন ফার্মেসীর মালিক আল আমিন মুন্নার মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।