একটি অবহেলিত চরিত্রের নাম হালিমা আক্তার রোমানা(৩০), বাড়ি কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানায়। স্বামীর সাথে সংসার করার প্রত্যাশায় ইতোমধ্যেই করেছেন মামলা, অভিযোগসহ সবরকমের চেষ্টা। অবশেষে ব্যর্থ তার বাবাকে নিয়ে চলে আসেন লালমনিরহাটে। সেখানে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের সামনে প্রেমিক রাকিবুল হাসান শাওনের বাসায় অনশন শুরু করেছেন। জানা যায়, লালমনিরহাটে জেলায় আদিতমারী থানাধীন মোঃ আঃ মোরশেদ ও মোছাঃ রেহানা পারভীনের ছেলে রাকিবুল হাসান (৩৬) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। উল্লেখ্য, রাকিবুল হাসান বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে রোমানার আগের স্বামীকে তালাক দেওয়ায় এবং পরিকল্পনা মোতাবেক তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকা ও নগদ প্রায় ২ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকারসহ লালমনিরহাটে সংসার করবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ বসবাস শুরু করে।
এরপর মেয়ের বাবাকে ডেকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে। মেয়ের বাবাকে বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্ত করে অবশেষে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর উল্লেখ পূর্বক গত ২২-১২-২০২২ ইং বিয়ে করে। কিছুদিন পর রোমানা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রোমানার শাশুড়ী কৌশলে বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ খাওয়ার। রোমানার শাশুড়ী যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করাসহ বিভিন্নভাবে তাকে মারধর করে। ফলে রোমানা বাধ্য হয়ে রাকিবুল হাসানের কর্মস্থল ঢাকা, দোহারে চলে আসে। সেখানে রাকিবুল হাসান যৌতুকের দাবীতে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে কৌশলে তাকে বলে বাবার বাড়ি কুমিল্লা যেতে। রাকিবুল বলে- ১০/১২ দিন বাবার বাড়িতে থাকো। এরপর নিয়ে আসবো। তার ক’দিন পরে রাকিবুল নোটারী পাবলিক থেকে তালাকনামার উকিল নোটিশ পাঠায় রোমানার বাড়িতে।
রোমানা বুঝতে পারে সে প্রতারনার স্বীকার। আগের স্বামী, সন্তান, টাকা, স্বর্ণ হারিয়ে রোমানা পাগল প্রায়। একাধিকবার রাকিবুল হাসানকে ফোন, এসএমএস করলেও উত্তর দেয়নি সে। আবার শাশুড়ী রেহানা পারভীনকে ফোন করলে তিনিও বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। পরিশেষে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ ও মামলা দায়ের করেও এখনো কোন ফলাফল পাইনি অসহায় রোমানা। কান্না জড়িত কণ্ঠে রোমানা বলে- আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। আমার সংসার বাঁচান। ইতিপূর্বে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রোমানা। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে এখনো পাগলের বেশে উর্ধতন সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে রোমানা। সুষ্ঠু বিচারই তার একমাত্র কামনা।।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রোমানা, রাকিবুলের বাসায় অবস্থান করছে। রাকিবুলের পরিবারের কাউকে মতামত জানা যায়নি।।