জামাল কাড়াল বরিশাল ব্যুরো প্রধান।
আর মাত্র দু দিন বাকি আসছে পবিত্র মাহে রমজান, এই মধ্যে সাধারন মানুষ হতাশ হয়ে পড়ছে নিত্যপূন্য বাজারে আগুন পরড়ে বলে রমজান এলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানো প্রতিযোগীতা নামবে আর অসাধু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে নিম্ম ও মধ্যবিত্ত সাধারন আয়ের মানুষরা। বাজরে সবজি কিনতে আসা মোঃ হারুন আর রসিদ বলে প্রতি বছর রোজ এলেই ব্যবসায়ীরা আমাদের কাজ থেকে অতিরিক্ত দাম রাখে আমি এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি আমি যা বেতন পাই তা মাসের ১৫দিন চলে আর বাকি ১৫ দিন চলতে হিমশিম খেতে হয় কি করো কিছু ভাবতে পারছিনা। আয়ের চেয়ে যদি ব্যায় বেশি হয় তাহলে চিন্তারই কথা, নিম্ম ও মধ্যবিত্তদের নিত্যপূন্য বাজার এখন হাতের নাগালে ধরাছোঁয়া বাইরে, তারা কি খাবে কি পরড়ে হতাশে ভুগছে। বরিশাল নগরী রুপাতলী নিত্যপূন্য বাজারে সিন্ডিকেট কারনে নিত্যপূন্য ও কাচা বাজারের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। রুপাতলী মাছ ব্যবসায়ী মোঃ আলম বলেন আমাদের কাজ থেকে নেতারা প্রতিদিন চাদা নেওয়ার কারনে আমারা দাম বারতি রাখি এতে আমাদেের দোষ কোথায়, তারা চাদা নেওয়া নেওয়া বন্ধ করুক আমরাও দাম কম রাখবো সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তারা। অন্যদিকে, রমজান এলেও কমছে না পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দাম। গতবছর রোজার আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সেই দাম এখন প্রায় তিন গুণ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা। সেই হিসেবে এক কেজি পেঁয়াজে বেশি খরচ হবে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ও রসুন ২২০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত রমজান থেকে প্রায় প্রতি কেজি ১০০ টাকা বেশি।তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগির এখনো গত বছরের দামকে অতিক্রম করেনি। যদিও গত দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। দুই দিন আগে কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৩৫ টাকা। গত বছর এ সময় দর ছিল ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে গত বছরের এ সময়ের দরকে ছাড়িয়েছে গরুর মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। গত বছর রোজার আগে ছিল ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা ধরে বিক্রি করছে।