পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালী
বাউফল উপজেলার কালাইয়ার গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লেদু সওদাগর ওরফে নুর আলম (৪০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ এর অভিযানকারী দল।
র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প জানান, র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-১০, সদর কোম্পানী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল সোমবার (১৯শে ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ১০:০৫ মিনিটের সময় অভিযান চালিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার ৪১৫, মীর হাজিরবাগ শরীয়তপুর জেনারেল স্টোরের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ লেদু সওদাগর ওরফে নুর আলম, বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মনু সওদাগর ওরফে মান্নান এর ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে স্মীকার করে, সে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, পটুয়াখালী এর নারী ও শিশু মামলা নং-৩৬৭/০৯, প্রসেস নং-৩৬০/১৯, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১) মামলায় যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত ও ২০,০০০/- জরিমানা, অনাদায়ে আরো ০৬ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত আসামি।
ঘটনাক্রমে জানা যায়, আসামি লেদু সওদাগর ওরফে নুর আলম দীর্ঘদিন যাবত মামলার বাদী ভিকটিম রোকেয়া বেগম’কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। প্রেম ও ভালোবাসার অভিনয় এবং বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসামি ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে ভিকটিম রোকেয়া অন্তসত্বা হয়ে পড়লে আসামি লেদু সওদাগর ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মেনে নিতে অস্মীকার করে। পরবর্তীতে ভিকটিম রোকেয়া বেগম লেদু সওদাগরকে ০১ নং আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় লেদু সওদাগর ওরফে নূর আলম দোষী সাব্যস্ত হয় এবং বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০,০০০/- জরিমানা, অনাদায়ে আরো ০৬ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করে। সে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।