শহিদুল ইসলাম রংপুর
বেরোবি পদার্থ বিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের পক্ষে আন্দোলনের প্রত্যক্ষ সহযোদ্ধা তুহিন রানা,এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন,ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী ছিলেন সাবেক উপাচার্য ড. হাসিবুর রশীদের প্রধান প্লানিং মাস্টার। তিনি প্রক্টরের পদ ফিরে পাবার আশায় বিভোর ছিলেন।
১১ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ছাত্র নির্যাতনের মূল পরিকল্পনাকারি ছিলেন এই সাবেক প্রক্টর। তিনি ছাত্রলীগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তাছাড়া যুবলীগ নেতা ওর্যাড কমিশনার শিবলুর নেতৃত্বে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের ক্যাম্পাসে ঢুকান। স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ব্যাপক অর্থ ব্যয় করেন এই শিক্ষক। ১৫ জুলাই সাবেক স্বৈরাচার সরকার যখন ছাত্র জনতাকে রাজাকার বলে গালি দেয় সেই দিনই এই শিক্ষক তার ফেসবুক পেজে ছাত্রলীগকে সমর্থন করে একটি পোস্ট করেন।
শহীদ আবু সাঈদ হত্যা কান্ডের পর ১৭ তারিখ ও পরবর্তীতে যেসকল শিক্ষক উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও বহিরাঙ্গন পরিচালকের বিচারের দাবি করেছেন এই ধরনের ১০ জন শিক্ষকসহ ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেন। এই কুলাঙ্গার শিক্ষক ৪ আগস্ট গণহত্যার পক্ষে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে ছাত্র জনতার আন্দোলনকে বিএনপি জামাতের আন্দোলন দেখিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন।
যা একজন শিক্ষকের কাছে আশা করা যায় না। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট এই গোলাম রব্বানী প্রক্টর হবার জন্য ব্যাপক লবিং করেন। তার ১৫ জুলাই ও ৪ আগস্টের পোস্ট স্পষ্ট গণহত্যাকে সমর্থন করে। এই ধরনের শিক্ষক জাতির জন্য কলংক।