শেরপুর প্রতিনিধিঃ মাহদি হাসান
শিশু অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাসলিমাকে দীর্ঘ ১৩ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে র্যাব-১৪ (সিপিসি-১) জামালপুরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাসলিমা শেরপুরের নকলা উপজেলার পাঁচ কাহনিয়া গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী। মামলার পর হতেই তিনি পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত তাসলিমা খাতুন আত্মীয়তার সুযোগে বিগত ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর নকলা উপজেলার শালখা গ্রামের এক বাড়িতে বেড়াতে যান। এর দু’দিন পর সেই বাড়ির চার বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখান থেকে তাসলিমা ভুক্তভোগীর বাবার কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
বিষয়টি নকলা থানা-পুলিশকে জানালে পুলিশ ঢাকা থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নকলা থানায় তাসলিমাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন তাসলিমা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর শেরপুরের নারী ও শিশুনির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক আসামি তাসলিমাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৮ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
র্যাব-১৪ (সিপিসি-১) জামালপুরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী বলেন, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-৭।
পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাসলিমাকে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাসলিমাকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।