টেকনাফের হ্নীলা পাহাড়ী জনপদের শীর্ষ ডাকাত আনোয়ার হোসেন প্রকাশ লেড়াইয়া ডাকাতও তার বাহিনীর সদস্যরা এখনো অধরা রয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের কর্মকান্ড প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে পড়েছে।তাদের হুমকিতে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং সকাল ১১ টার দিকে
প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিক জামাল মেম্বারের বাড়িতে হামলা করে বাড়ি ভা্ঙ্গচুরও লুটপাটেরঘটনা ঘটায়। এঘটনায় সংবাদকর্মী ওসাবেক মেম্বার জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আরো ডনের বেশী মামলা রয়েছে যার নাম্বার
১।জি আর ১৩৬/১৪ তারিখ ৯।৪।১৪ ইং৷ ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/।৩০৭/৩৭৯/ ২।জি আর ৩১০/১৯ তারিখ ২৮/৪/১৯ ইং ধারা ৩৬/(১)এর ১০/(ক)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩। জি আর ৩০৯/১৯ ইং তারিখ ২৮/৪/১৯ ধারা ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন 19/A/19/F ৪। জি আর ৩৯৮/১৯ ইং তারিখ ১৯/৫/১৯ ধারা ৩৬(১)এর ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৫। ৩৯৭/১৯ ইং তারিখ ১৯/৫/১৯ ধারা ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন 19/A/19/F ৬। জি আর ৮৬/২১ ইং তারিখ ২/২/২১ ধারা ৪৩৬/৩৪ ৭।জি আর ১৩১/২৩ ইং তারিখ ২/৩/২৩ ধারা ১৪৩/১৪৪/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬/ ৮/ জি আর ৩৮৫/২৩ ইং তারিখ ৫/৬/২৩ ধারা ৩৬৫/৩৮৫/৩২৬/ ৯/জি আর ২০০/২২ ইং তারিখ ২/৩/২২ ধারা 19/A/19/F ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ১০।মামলা নং১১০/২০ ইং তারিখ ২৩/৬/২০ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৪৪৮/৪২৭/৩৫৪/৩৮০/৩৭৯/৫০৬/৩৪
১১।জি আর ৫৭৯/১৩ ইং তারিখ ২৪ /১০/১৩ ধারা ৩০২/৩৪ ১২।৮০০/২০ ইং তারিখ ২১/৯/২০ ধারা ৩০২/৩৪ বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা কর্তৃক নিশ্চিত হওয়া গেছে।এসমস্ত
মামলার আসামী ও ঘটনায় নেতৃত্ব দানকারী আনোয়ার হোসেন প্রকাশ লেড়াইয়া ডাকাতও তার নেতৃত্বাধীন ২০/৩০ জনের অবৈধ অস্ত্রধারী বাহিনীর সদস্যরা এখনো কেউ ধরা নাপড়ায় খোদ পুলিশের কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মামলা তুলে নিতে বাদী এবং তার পরিবারের লোকজন কে একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে মামলার বাদী জামাল উদ্দিন। এলাকাবাসী জানতে চাই আর কতটা মামলা হলে তারা আইনের আওতায় আসবে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার,খুন, ডাকাতি,অপহরণের পর মুক্তিপন আদায় সহ দীর্ঘ দিন ধরে এই বাহিনীর লোক জন টেকনাফের পাহাড় অধ্যুষিত রঙ্গিখালি,উলুচামরী,আলীখালী, বড়লেচুয়াপ্রাং,মরিচ্যাঘোনা, পশ্চিম পান খালী, লেদা, মোচনী,নয়াপাড়া,জাদীমুরাওদমদমিয়া সহ নাফনদীতে ও তাদের প্রত্যক্ষও পরোক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর কর্মকান্ড চলমান রয়েছে।
তাদের এহেন কর্মকান্ডে এলাকার মানুষের জনজীবন বিপর্যস্থ করে তুলেছে। এলাকায় যত অপহরণ, খুন, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটে সমস্ত ঘটনায় এই বাহিনীর প্রত্যক্ষও পরোক্ষ মদদ থাকে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেছেন।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ওসমানগণি বলেছেন সন্ত্রাসীরা আমাদের কোন আত্নীয় স্বজন নন,তাদের ধরতে পুলিশ সদা তৎপর গোয়েন্দানজরদারী বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের গ্রেফতারে পুলিশী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে চিরুনী অভিযান জোরদার করে এসমস্ত অপরাধীদে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মামলার বাদী সংবাদকর্মীও সাবেক মেম্বার জামাল উদ্দিন ও সচেতন এলাকাবাসী।