জামাল উদ্দীন -কক্সবাজার প্রতিনিধি
হ্নীলায় এক স্কুল শিক্ষার্থী জনশূন্য বাড়িতে আত্নহত্যা করার ঘটনায় জনমনে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মৃতদেহ পোস্টমর্টেম শেষে দাফন করা হয়েছে।
২০ফেব্রুয়ারী বাদে এশা হ্নীলা পানখালী মাঝের পাড়া কবর স্থানে গলায় ওড়না পেছিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করা হ্নীলা আল-ফালাহ একাডেমীর দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও পশ্চিম পানখালীর নুরুল আবছার-ফরিদা ইয়াছমিন দম্পতির ৩য় মেয়ে আফসানা সোলতানা লিপি (১৭) কে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। এর আগে ১৯ফেব্রুয়ারী সকালে মা ফরিদা ইয়াছমিন এবং দুপুরের দিকে বাবা নুরুল আবছার জনশূণ্য বাড়িতে মেয়েকে একা রেখে বের হয়ে যায়। বিকাল সাড়ে ৪টারদিকে আফসানা সোলতানা লিপি (১৭) টিকটক লাইভে এসে ফোন কলরত অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। রাত সাড়ে ৮টারদিকে বাবা ফিরে এসে মেয়েকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় চিৎকার শুরু করলে আশ-পাশের লোকজন এসে ঝুলন্ত রশি থেকে মৃতদেহ নামিয়ে ফেলে এবং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ২০ফেব্রুয়ারী ভোরের দিকে টেকনাফ মডেল থানার এসআই সুদর্শন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহের সাথে থাকা এন্ড্রয়েড মোবাইলটি জব্দ করে এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে নিহত লিপির মামা এবং ওয়ার্ড চৌকিদার নুর আহমদ কালু জানান,আমার ভাগিনী কেন আত্নহত্যা করেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা। তবে পুলিশ সাথে থাকা মোবাইল জব্দ করে নিয়ে গেছে। পুলিশ তা তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
এদিকে নিহত বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,লিপি আত্নহত্যার পূর্বে কোন একজনকে মুঠোফোনে কল করে। সে যদি না আসে আত্নহত্যার হুমকি দেয়। এরপর রাত ৮টারদিকে বাবা বাড়িতে এসে মেয়ের গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ দেখতে পান। নিহত লিপির বন্ধু-বান্ধবীদের মধ্যে এই আত্নহত্যা বজ্রপাতের মতো মনে হলেও মূলত সাবেক এক প্রেমিক, বর্তমান প্রেমিক ও অজ্ঞাত এক যুবকের কারণে আত্নহনন করেছে বলে ধারণা করছে।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান,শিক্ষার্থী আত্নহননের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই জাতীয় ঘটনা ঘটতে থাকতে আগামী প্রজন্ম নিয়ে আমরা চরম উদ্বেগের দিকে ধাবিত হচ্ছি। তা থেকে উত্তরণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। পুলিশ যেহেতু নিহত লিপির ব্যবহৃত মুঠোফোন উদ্ধার করেছে প্রযুক্তির সহায়তায় মৃত্যুর পূর্বে কার সাথে যোগাযোগ ছিল তা বের করে ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।
এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, পুলিশ গলায় ওড়না প্যাঁছানো মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।