জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
দিনে বিরল প্রজাতির প্যাঁচা উদ্ধার, রাতে অবমুক্ত জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা গাইবান্ধা সরকারি কলেজের পুকুর থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি লক্ষ্মী প্যাঁচা উদ্ধার করে রাতের আঁধারে উন্মুক্তস্থানে অবমুক্ত করা হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্যাঁচাটিকে অবমুক্ত করেন শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ (তীর)। জানা যায়, রোববার দুপুর দুইটার দিকে বিরল প্রজাতির একটি প্যাঁচা কিছু চিলের আক্রমণের শিকার হয়ে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের পূর্ব পাশের পুকুরে পড়ে যায়। শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ (তীর) গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক মো. হাবিবুল বাসার হিমন বিষয়টি জানতে পেরে সভাপতি মো. জাহিদ রায়হানকে অবগত করেন। খবর পেয়ে ‘তীর’-এর কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে থেকে প্যাঁচাটিকে উদ্ধার করে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্যাঁচাটিকে উন্মুক্তস্থানে অবমুক্ত করেন তীরের সদস্যরা। এসময় গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও তীর’র উপদেষ্টা প্রফেসর মো. খলিলুর রহমান, তীর গাইবান্ধা কলেজ শাখার সভাপতি মো. জাহিদ রায়হান, সাবেক সভাপতি জিসান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক মো. হাবিবুল বাসার হিমনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি জিসান মাহমুদ বলেন, প্যাঁচাটির নাম লক্ষ্মীপ্যাঁচা বা লক্ষ্মীপেঁচা (ইংরেজি: Barn Owl; বৈজ্ঞানিক নাম: Tyto alba)। নিশাচর পাখি পেঁচা প্রকৃতির বন্ধু। আমাদের দেশে ধান ক্ষেতের ইঁদুর খেয়ে পেঁচা আমাদের অনেক বড় উপকার করে। মাঝারি থেকে বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে এ পাখিটি। শরীরের তুলনায় মুখমণ্ডল অনেকাংশেই বড় হয়ে থাকে। তীর সভাপতি মো. জাহিদ রায়হান বলেন, দিনে প্যাঁচাটি উদ্ধার করা হয়। দিনের আলো থাকার কারণে আমরা প্যাঁচাটিকে ‘তীর’-এর হেফাজতেই রেখেছিলাম। পরে সুস্থ অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্যাঁচাটিকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে।