অমিতাভ:
বরিশাল বিভাগে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম জন্মদিন আজ ৷ দিনটি উপলক্ষে নানা ধরণের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৷
২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ ফেব্রুয়ারিকে প্রতিবছর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয় ৷বরিশাল অঞ্চলে কোনো উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতারও পূর্বে ১৯৬০ এর দশকের দিকেই এই অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা তৈরি হয়।
১৯৭৩ সালে বরিশাল শহরে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, বরিশালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে তার।
দিবসটি উপলক্ষে দুপুরে,বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
এর মান রক্ষার দায়িত্ব এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় একদিন নিজেকে নিয়ে যাবে ঈর্ষান্বিত পর্যায়ে। একদিন আমরা গর্ব করে বলতে পারব বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়” ৷
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির।
রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তানভীর কায়ছার, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তারেক মাহমুদ আবীর, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ, গ্রেড ১১-১৬ কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নূরউদ্দিন এবং গ্রেড ১৭-২০ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আরিফ সিকদার।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টর, প্রভোস্ট, পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ অন্যান্য অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে,পতাকা ,ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হয়, এরপর একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয় ৷ বিকেলে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবার কথা রয়েছে ৷