গোপালগঞ্জে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতন ২ সন্তান সহ খুন করার হুমকি।

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।

ঘটনাটি ঘটেছে ২সন্তানের জননী রেহানা আক্তার(৩২) পিতা মৃত লাল শেখ, বাউনডাঙ্গ, রুপসা খুলনা , জানা যায় তিনি তার স্বামী সাদ্দাম সিকদার, শিশুবন (পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন)গোপালগঞ্জ, কে ও তার সন্তানদের নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার তেঘুরিয়া মেডিকেল কলেজ রোডের ভাড়ার বাসায় থাকতেন। রেহানা ও সাদ্দম এর বিবাহটা পারিবারিক ভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল বলে জানা যায়।

এ ব্যপারে ভুক্তভোগী রেহানা গণমাধ্যম কর্মীদের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার ও সাদ্দামের বিবাহটা পারিবারিক ভাবে সম্পন্ন হয়। আমাদের বৈবাহিক জীবন খুব ভালো ভাবেই চলছিল। কিছুদিন যেতে না যেতেই আমার উপরে শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। আমার উপর স্বামী সাদ্দাম শিকদার ছাড়াও তার ভাই রিপন শিকদার ওরফে খয়েম এবং সাদ্দামের ভাই বউ সুমী খানম এবং তার বাবা নুরু শিকদার, প্রায় প্রতিদিন শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালাতো। তারা আমার উপর এমন ভাবে অত্যাচার করার কারণ আমি বুঝলাম যে, ওরা আমাকে আমার সাজানো গোছানো সংসার ও বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য করছে। আমি চলে গেলে যৌতুক নিয়ে আবার সাদ্দামকে বিবাহ দেবে।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী আমাকে মারে তাতে আমার কোন সমস্য নাই, এক পর্যায়ে সাদ্দামের বাবা সহ তার পরিবারের সকল সদস্যরাই আমার উপর বিভিন্ন কৌশলে অত্যাচার ও নির্যাতন করতো। আমার ২টি বাচ্চা ছেলে হাসান ও হোসেন ওদেরকেও ওর বাবা নির্মম ভাবে মারধর করতো। সাদ্দাম শিকদার রেহেনা খানম কে, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতো, এ ব্যপারে কাউকে জানালে আমার সন্তানদের নিখোঁজ করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়, সে আমাকে খুন করে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়।

নারী নির্যাতন সমাজের ক্যান্সারের মত ব্যাধি। আমাদের দেশে প্রায়ই শোনা যায় নারী নির্যাতনের হরর কাহিনি ও দেখা যায় দৃশ্য । এটা একটা বড় অপরাধ। আমাদের দেশের আইন ব্যবস্থার অবক্ষয়ের কারণে সংশ্লিষ্ট ভয়ংকর অপরাধীরা ও সাড়া পেয়ে যায় অপরাধ করে এবং বৃদ্ধি পাচ্ছে এ সংক্রান্ত অপরাধ। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *