রংপুরে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

মোঃ আফ্ফান হোসাইন আজমীর, রংপুর প্রতিনিধিঃ

একুশের প্রথম প্রহরে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্নত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সর্বস্তরের মানুষ।

রাত সাড়ে ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তমালা অর্পণ করতে আসা হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। শহীদ মিনার চত্ত্বরসহ আশপাশের রাস্তায় নামে মানুষের ঢল। এ সময় বাজছিল অমর একুশের কালজয়ী গান, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।

এছাড়াও মাইক্রোফোনে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে রংপুর প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন, ভিডিও জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন, সিটি প্রেসক্লাব, গংগাচড়া স্মার্ট প্রেসক্লাব, বাংলার চোখসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একে একে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রাতের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ফুলে ভরে উঠে শহীদ মিনার। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালে ভাষা শহীদদের আত্নত্যাগের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান শহীদ দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। তবে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে অমর একুশে এখন পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *