হরিরামপুর বাসী পরিবর্তন চায়.

হরিরামপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। কিন্তু পদ্মা নদীর ভয়াল থাবায় বারবার মানচিত্র পরিবর্তন হয়েছে।
এই উপজেলায় বহু গুণীজনদের জন্ম ও বসবাস। কিন্তু রাজধানীর কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও তেমন কিছু দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। তাই সাধারণ ভোটাররা, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে পরিবর্তন চায়, কারণ হিসেবে একাধিক ভোটর বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী পুত্র নবী নুর এবং তার বাহিনীর নিকট হতে সাধারণ ভোটার গণ জুলুম অত্যাচারের পরিত্রান চান। উপজেলা চেয়ারম্যান এবার নির্বাচিত হয়ে ইছামতী নদীর পাড়ের মাটি ইজারা নিয়ে, জোর করে নদীর পাড়ের মানুষের বাড়ির ও ভিটার মাটি কেটে নেয় তার পুত্র ও গুন্ডা বাহিনী।
পাটগ্রাম মোড় হতে কালই মোড় পর্যন্ত রাস্তার কাজ যখন চলমান, সে সময় অবৈধভাবে পদ্মা নদী হতে বালু উত্তলন করে কন্ট্রাক্টরকে জিম্মি করে এককভাবে বালু সরবরাহ করে এবং সে সময় এটা প্রতিবাদ করায়, পত্রিকায় রিপোর্ট করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন সজল নামের এক মিডিয়া কর্মি।
অবৈধ ইট ভাটা করে সেখানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে টাকা পয়সার মাধ্যমে তা মিমাংসা করেন।
ঝিটকা বাজারে করিম বিশ্বাসের চলমান দোকান (৪ টি টিনের ঘর) হতে তাকে এবং তার ভাড়াটিয়াকে জোর করে নামিয়ে রাতারাতি ঘর ভেঙে কৌড়ির আয়নালের পক্ষে দখল করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী। আয়নালের মালিকানা দেখিয়ে ঐ জায়গা চেয়ারম্যানের আত্মীয় আবদুল আলীম হাসির নিকট ৩ কোটি ৬০ লক্ষ বিক্রি করে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেন, যা বৃহত্তর ঝিটকা এলাকা সহ সকলেই জানেন, এই শোক না সইতে পেরে করিম বিশ্বাস পরবর্তীতে মৃত্যু বরণ করেন।
দিয়াবাড়ি প্রশিকা অফিস দখল করে গেটে তালা লাগিয়ে টাকা আদায় করেন এবং তাদের হয়রানি করেন দেওয়ান সাইদুর রহমান।
ঝিটকা বাজারের ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট দখল করে গরু ছাগলের হাট নষ্ট করেছেন।
গত বছর চেয়ারম্যানের আত্মীয় আলমগীর দেওয়ানের নামে কৌশল করে বালু মহালের ইজারা পায়িয়ে দিয়ে, নিজে দায়িত্ব নিয়ে নির্ধারিত এলাকার বাহিরে এসে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে বেড়ীবাঁধের হুমকির এরিয়ায় ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করে। বৈধ ব্যবসায়িদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে ব্যবসা বন্ধ করে দেন। রাস্তা ঘাট নষ্ট করে ট্রাক দিয়ে এককভাবে বালু সরবরাহ করে মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়ে কানাডা পাচার করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী ছেলে নবী নুর এবং তার বাহিনী হরিরামপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
হামলার শিকার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, সামসু, যুবলীগের রশিদ, দুলাল সুত্রধর, মিলন মোল্লা, জামাল, সাব্বির আহমেদ, শ্রমিক লীগের ইউসুব,ছাত্রলীগের রিফাত, শুভ, ফয়েজ সহ অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনতা।
এছাড়াও উপজেলা গেটের ফরিদের হোটেল হামলা, মেগার চায়ের দোকানে হামলা, মহিদুর রহমানের বাড়িতে হামলা, আবিদ হাসান বিপ্লবের সাথে অশোভন আচরণ ও বাড়িতে হামলা সহ বহু ভোটার কে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে মারধর করেন।

তাই সাধারণ ভোটারদের আশংকা এবার আবারও যদি তিনি উপজেলায় নির্বাচিত হন তবে তার সন্ত্রসী কর্মকান্ড, জবরদখল অন্যায় অত্যাচারে এলাকায় ভিতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে তুলবেন।
তার ভাতিজা খুনের মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করেছেন বহু গন্যমান্য ব্যক্তিদের, বহু ভোটারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক মামলায় হয়রানি করে চলছেন।
আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের বিপ্লবের মাধ্যমে এই সন্ত্রাসী জিম্মি দশা হতে মুক্তি পেতে চায় সাধারণ ভোটারগণ।
দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দুইবারই সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন অপকর্মের দায়ে।
আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে ইচ্ছুক মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজিদ উল্লাহ প্রধান লিল্টু এইসব কথা বলেন, তিনি আরও বলেন এই অত্যাচরী চেয়ারম্যান কে জনগণ বয়কট করবে, আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, ইনশাল্লাহ।
সকল ভুক্তভোগীদের একই কথা উপজেলায় পরিবর্তন এখন সময়ের ব্যাপার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *