সেন্টমার্টিনে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ মানুষ

জামাল উদ্দীন -কক্সবাজার

কক্সবাজার-টেকনাফে অবস্থিত বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম পর্যটনস্পট প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রধান সমস্যা হচ্ছে শত শত ‘বেওয়ারিশ কুকুর’ উপদ্রব। প্রতিনিয়ত এমন অভিযোগ করে যাচ্ছে দ্বীপের বাসিন্দা এবং ভ্রমন পিপাসু আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।

গত কয়েক বছর ধরে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দ্বীপে আসা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্বীপটির আয়তন প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার। স্থানীয়দের দাবি বর্তমানে এই দ্বীপে ৫ হাজারের বেশি বেওয়ারিশ কুকুরের বিচরণ করছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য হাবিব খান তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, “বেওয়ারিশ কুকুরের নির্যাতনে অতিষ্ঠ সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাধারণ মানুষ পর্যটকরা”

দ্বীপে চারপাশে বিচরণ করা বেওয়ারিশ কুকুরগুলো প্রতিদিন কাউকে না কাউকে কামড়াচ্ছ। ক্ষুধার্ত কুকুর গুলোর কমড় থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছেনা। রাতে অথবা সকালে সমুদ্র সৈকতে নামলেই কুকুরের জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে।

গত বুধবার তার মায়ের জানাযা পড়তে আসা শত শত মানুষের সামনে দ্বীপের স্থানীয় এক মেয়েকে কামড় দিয়ে গুরুতরভাবে আহত করেছে। গত দু-একদিন আগে নাকি দ্বীপের একজন সাবেক মেম্বারকে কামড় দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেছে।

এভাবেই প্রতিদিন কুকুর গুলো কাউকে না কাউকে কামড় দিচ্ছে। দ্বীপে বসবাসকারী অনেক পিতা-মাতা কুকুরের কামড় থেকে রক্ষা করতে তাদের কমলমতি শিশু-কিশোরদের স্কুল, মাদ্রসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবের অতিষ্ট থেকে দ্বীপবাসী ও আগত পর্যটকদের রক্ষা করার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এবিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, দ্বীপে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি পর্যটন মৌসুমে এই কুকুর গুলোর উপদ্রব আরও বেড়ে যায়। দ্বীপবর্তী সমুদ্র সৈকত এলাকার চারপাশ, বাজার, জেটি সংলগ্ন এলাকাসহ বেওয়ারিশ কুকুরের অবাধ বিচরণ ও উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দ্বীপবাসীর জনজীবন।

বিগত কয়েক বছর ধরে কুকুর নিধন নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে সেন্টমাটিন দ্বীপে বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *