এক পা, দুই পা করে বাবা-মার হাত ধরে হাঁটতে শেখা। কিংবা তাদের হাতে হাত রেখে হাঁটতে হাঁটতে আস্তে আস্তে বড় হওয়ার স্মৃতি সবার মণিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে থাকে।
সন্তানের ভালো-মন্দ বুঝতে পারার ক্ষমতার একটা বড় অংশ তৈরি হয় বাবা-মার আদর্শকে ঘিরে। বাবা-মার অবদান লিখে শেষ করা যাবে না।
তাই তো নানা কারণে তাদের এ অবদান বা ভালোবাসার কথা অনেকেই মুখ ফুটে বলতে পারেন না। তবে বাবা-মাকে ভালোবাসি বলার সেই সুযোগই করে দিয়েছিল গোবিন্দগঞ্জ ইনফরমেশন সেন্টার (জিআইসি)। ‘চিঠি উৎসব-২৪’ নামে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাবা-মার কাছে চিঠি লিখে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ১২ শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাসেল মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা জেলার রোভার কমিশনার মোঃ গোলাম মোস্তফা।
জানা গেছে, চিঠি উৎসবে গোবিন্দগঞ্জের ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডাকবাক্স বসানো হয়। কুরিয়ার ও চিঠির ডাকবাক্সে সর্বমোট ২৭৮টি চিঠি জমা হয়। বিচারকদের বিচার বিশ্লেষণ শেষে সেরা ১২জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়।
চিঠি উৎসবে বিচারক হিসেবে ছিলেন- দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সিনিয়র রিপোর্টার শিহাব উদ্দিন, এনটিভির রিপোর্টার আবির আহমেদ, দৈনিক ইত্তেফাকের সহ-সম্পাদক আফ্রিদা হিমিকা এবং প্রথম আলোর ডিজিটাল বিভাগের কন্টেন্ট সহকারী তাহসিন আহমেদ।
চিঠি উৎসবে অংশ নিয়ে ছোটন নামে শিক্ষার্থী জানান, ‘আমি আসলে কথা বলতে পারছি না। শুধু বলতে চাই এমন অনুষ্ঠান যেন আগামীতেও আয়োজন করা হয়। বড্ড ভালোবাসি মা। বড্ড ভালোবাসি বাবা।’
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চিঠি উৎসব-২০২৪ সমাপ্তি হয়।