আরকান আর্মির হামলার ভয়ে রাখাইনের রাজধানী সিত্তের শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যাচ্ছেন

জামাল উদ্দীন -কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধ

মিয়ানমারে জান্তার বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছে বিদ্রোহীরা। গোষ্ঠীগুলোর হামলায় নাজেহাল জান্তা প্রশাসন। এবার জান্তা ও বিদ্রোহীদের হামলার ভয়ে রাখাইনের রাজধানী ছাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার (০১ মার্চ) নারিনজারা নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তের শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) যেকোনো সময় শহরে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় তারা এলাকা থেকে
পালাচ্ছেন।


স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সিত্তে শহর আরাকান আর্মি যেকোনো সময় দখল করে নিতে পারে। মানুষের মাঝে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে তারা স্বাধীন অঞ্চলগুলোতে চলে যাচ্ছেন।
মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াংগুন-সিত্তে মহাসড়কের আহ মিয়ান্ট কায়ুন মিন চং সেতু মাইন বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির জান্তা প্রশাসন। আরাকান আর্মির সেনাদের সিত্তে শহরে প্রবেশ ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক অনেক বেড়ে গেছে।
স্থানীয় ওই বাসিন্দা বলেন, গুরেুত্বপূর্ণ এ সেতুটি উড়িয়ে দেওয়া মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের আটকে ফেলা হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে মানুষ কিভাবে পালাবেন তা নিয়ে শঙ্কিত। এজন্য মানুষ এখন পালিয়ে যাচ্ছেন। তারা নিজেরাই এখন সময়ের সদ্বব্যবহার করছেন।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কেবল সাধারণ মানুষ নয়, সেনাবাহিনীর সদস্যরাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারের লোকজনও শহর ছাড়ছেন।
সিত্তে শহরে বর্তমানে মোট বাসিন্দার এক তৃতীয়াংশ লোক অবস্থান করছেন। এরমধ্যে কেউ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নন আবার কেউ বৃদ্ধ আর বাকিরা নিজেদের মালামাল চুরি হওয়া নিয়ে চিন্তিত। পালিয়ে যাওয়া মানুষদের বেশিরভাগ নৌকা ব্যবহার করে অন্যত্র সরে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির একপাশ থেকে অন্যপাশে যেতে জনপ্রতি ৫০ হাজার কিয়েট ব্যয় করতে হচ্ছে।
রাখাইনের অপর এক বাসিন্দা বলেন, জান্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে পালানোর ক্ষেত্রেও বাধা দিচ্ছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আরাকান আর্মি হামলা চালালে সেনারা যাতে সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এজন্য তারা বাধার সৃষ্টি করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *