বাসন(গাজীপুর)প্রতিনিধি
গাজীপুর (সওজ)সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ অভিযোগ দায়ের করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। যার সূত্র ধরে, সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে -সোহেল মিয়ার কাছে বক্তব্য চাইলে অশালীন কথা ও খারাপ আচরণ করেন প্রতিবেদকের সাথে। পরবর্তীতে তার কাছে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করলে তাকে পাওয়া যায় না।
অভিযোগের বর্ণনা মোতাবেক জানা যায়, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহেল মিয়ার পছন্দের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যতীত গত দুই বছরে অন্য কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ পায়নি। সোহেল মিয়ার কথাই চলছে গাজীপুর সড়ক ভবন। দুর্নীতি অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় দিশেহারা অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এছাড়াও বলা হয়, উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী জামিল আক্তার লিমনের বদলি হওয়ার কারণে, তার জায়গাটা নির্বাহী প্রকৌশলির সাথে সমন্বয় করে সোহেল মিয়া দখল করেন অতঃপর বেপরোয়া হয় তার অফিসের কর্মযজ্ঞ। সড়কের বিভিন্ন কাজে অনিয়ম হলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেন না সোহেল। কোটি কোটি টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স থাকলেও অনেক ঠিকাদার কাজ পাচ্ছেন না সোহেলের সাথে সমন্বয় না থাকার কারণে। লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত কমিশন বাণিজ্য শুরু করেছেন এই কর্মকর্তা।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগেও যে কর্মকর্তা সাদাসিদে জীবনযাপন করত, আজ তার লাইফ স্টাইল দেখে কে?অফিসের প্যারাডো গাড়ি, দামি পোশাক আর মুখের চটকদার কথা দিয়ে ঠিকাদারদের পকেট কাটছেন এই কর্মকর্তা। নিম্নবর্তী সকল কর্মচারীদের আবার চাকরির খাওয়ার ভয়ও দেখান।ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন লোকজনদের নিয়ে সারাদিন চলে অফিস কক্ষে কমিশন বাণিজ্যের আড্ডা।আবার উচ্ছেদ সংক্রান্ত কোনো বিষয় অভিযোগ পেলেও নেয় না ব্যবস্থা ।
রাজেন্দ্রপুর এলাকায় সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা থাকলেও উচ্ছেদ করার কোন প্রস্তাব গ্রহণ করেন না তিনি।ওই এলাকার প্রত্যেক স্থাপনা থেকে মোটা অংকের মাসিক মাশোহারা নেন এই কর্মকর্তা। তার এরকম বেপরোয়া কর্মযজ্ঞে অতিষ্ঠ গাজীপুর সড়ক ভবনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।কিন্তু কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার শরিফুল আলম। আবার সাংবাদিকদের সুন্দর করে ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন তিনি। এক সাংবাদিক বক্তব্য চাইলে তিনি সিনিয়র অন্য সাংবাদিক দিয়ে তদবির করান। আবার তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিককে থ্রেট করানো হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে একাধিকবার মুঠো ফোনে ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেন না।
এ বিষয়ে সচিবালয় থেকে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে এর আগে অভিযোগ এসেছে, অতি দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং সাংবাদিকদের জানানো হবে।