মো:জাহিদুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার ‘গাইবান্ধা সদর উপজেলা।
গাইবান্ধা কে উত্তর ও পূর্বদিকে ঘিরে রেখেছে, তিস্তা যমুনা, ব্রহ্মপুত্র এসব নদ নদীর বুকে জেগে উঠেছে প্রায় ১৬৫ টি চর স্থায়ী অস্থায়ী শতাধিক মানুষ বসবাস করছে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ।ভৌলিক অবস্থানগত কারণে নাগরিক সুযোগ সুবিধা বঞ্জিত এই জনপদের দুঃখ কষ্ট সমতলের মানুষ জানতে পারে না ।চর বাসিরা তাই নিরবে সব কষ্ট, বুকে ধারণ করছে তারা।প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে আসছে তারা,চরের বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এখানে নেই, কোন আধুনিক কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা। দুর্ভোগ অঞ্চল হাওয়ায় চর থেকে মূল ভূখণ্ড কিংবা শহরে যেতে লাগে, তিন থেকে চার ঘন্টা। ফলে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আগেই অনেকে মারা যাচ্ছে, বিশেষ করে গর্ভবতী নারী শিশু বৃদ্ধরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুপিতে রয়েছে তারা। দুই বছর আগে গাইবান্ধা ফুলছড়ি, অন্তর্গত যমুনা দুর্গম বালুচরের মর্মান্তিক ঘটনা চর অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে।দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়,জেলা পরিসংখ্যার অফিস তথ্য বলেছে, গাইবান্ধার চর অঞ্চলের প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার লোক বসবাস করেন। তবে চার উপজেলা চেয়ারম্যান জানান,প্রকৃত সংখ্যা সাড়ে চার লাখ। মূল ভূখণ্ডে থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ফুলছড়ি কালোপাড়ায় ধাত্রী,মাতভান বেগব (৪৫)বলেন এই এলাকায় কোন স্বাস্থ্যকর্মী আসে না, ফলে নানা দুর্ভোগ পড়তে হয়।তাছাড়া যেহেতু পরিবার কর্মকর্তারা ও আসেনা। জনগণের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে কোন সচেতন নেই।