গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে ৭ বছরের শিশু রাফিয়া কে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করল সৎ মা!

মো:জাহিদুল ইসলাম ,প্রতিনিধি গাইবান্ধা।

নিজের মেয়েকে সুখে রাখতে গিয়ে সৎ মেয়েকে পানিতে ডুবিয়ে মারলো সৎ মা , এ ঘটনাটি ঘটে, ১৮ই সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টায় গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দরবস্তু ইউনিয়ন কোমরপুর কারিপাড়া গ্রামে ৭ বছর বয়সী রাফিয়া নামের এক কন্যা শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার করার অভিযোগ উঠেছে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইশা বেগম (২২) নামের ওই মাকে আটক করেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।

নিহত শিশু রাফিয়া ওই এলাকার রানা মিয়ার মেয়ে। গত তিনমাস পূর্বে শিশু রাফিয়ার মায়ের রানা মিয়ার সাথে তালাক হয়। রাফিয়ার মা রানা মিয়ার প্রথম স্ত্রী ছিলেন। মায়ের তালাকের পর থেকে রাফিয়া দাদা-দাদীর সঙ্গে থাকতো।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, শিশু রাফিয়ার মা রানা মিয়ার প্রথম স্ত্রী। ইশা বেগম রানার মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। ইশা বেগমেরও তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বুধবার বিকেলের দিকে খেলার সময় তিন বছর বয়সী ওই সৎ বোনের সাথে রাফিয়া মারামারি করে। এর জেরেই সৎ মা ইশা বেগম রাফিয়াকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পানা ভর্তি পুকুরে নিয়ে নির্মমভাবে ডুবিয়ে মারে।

এসময় রোজিনা নামের স্থানীয় এক নারী ঘটনাটি দেখে চিৎকার করলে ইশা বেগম ঘটনাস্থল থেকে উঠে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশু রাফিয়াকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু রাফিয়াকে মৃত বলে নিশ্চিত করেন। পরে স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ইশা বেগমকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নেয়।
সৎ মা ইশা বেগমের দাবি, আমি শিশু রাফিয়াকে পা পিছলে পুকুরের পড়ে যেতে দেখেছি। তখন সে বেঁচে ছিল। কিন্তু আমি রাগ করে তাকে উঠাইনি!

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান শামীম বলেন,ঘটনার পরেই অভিযুক্ত সৎ মা ইশা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পুলিশী তদন্ত চলমান রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ আগামীকাল গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা বা স্বজনদের কেউ এজাহার দিলে মামলা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *