সাগর আহমেদ জজ,,নেত্রকোনা প্রতিনিধ
নেত্রকোনার পূর্বধলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ ভাবে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২০১৮ সনের জুলাই মাসে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ গ্রহণ করা প্রধান শিক্ষক সুদীপ চন্দ্র সরকারের অপসারণের দাবিতে গত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রধান করে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। সেইসাথে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারীগণ কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
শিক্ষক সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী জুনিয়র হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষিকা জোৎস্না রানী বীরকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়, নিয়োগ বোর্ডে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তার স্বামী সুদীপ চন্দ্র সরকার কে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করার অভিযোগে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার নিয়মবহির্ভূত।
অবৈধ প্রভাবে নিয়োগ গ্রহণ করা বর্তমান প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী জোৎস্না রানী বীর জাল (বি.এ পাস) সনদপত্র প্রদর্শন করে ১৯৯৭ সনের ১৮ মার্চ সহকারী শিক্ষক (হিন্দু ধর্ম) পদে নিয়োগ গ্রহণ করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৫ সনের ২৪ অক্টোবর মাসে জনবল অবকাঠামোর পরিপত্র অনুযায়ী এইচএসসি পাশ কোন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
সি এ ফার্ম কতৃক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অডিট তথ্যাবলী অডিটে ১৯৯৭/১৯৯৮ সনে সহকারী শিক্ষকের জোৎস্না রানী বীর (হিন্দু ধর্ম) নাম তালিকাভুক্ত নেই। পরবর্তীতে ২০০১ সনের অক্টোবর মাসে সহকারী শিক্ষক জোৎস্না রানী বীর ২০০৪ সনে বিএস এস পাস করেন। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায় মাসিক বিল বিবরণীতে যোগদানের তারিখ ১৯৯৭ সনের ১৮ মার্চ।
পূর্বধলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অ অনিয়ম ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক তথ্য তুলে ধরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসী
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সুদীপ চন্দ্র সরকার ও তার স্ত্রী সহকারি শিক্ষক জ্যোৎস্না রানী বীরের সাথে কথা বললে তারা জানান।