এম শাহরিয়ার তাজ
২১ সেপ্টেম্বর’২৪ দুপুর ২টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় সংলগ্ন ডেমরা সারুলিয়ায় শহীদ স্মৃতি মিলনায়তনে শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-এ শহীদ, আহত, কারাবন্দী ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও কেমন বাংলাদেশ চাই শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সহকারী সচিব শরিফুল ইসলাম, ৬৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোঃ ইবরাহীম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাজমুল হাসান, যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুব মনি, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিভিত্তিক সংগঠন বোঝাপড়ার সমন্বয়ক এম এম শোয়াইব, তরিকুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমদ, স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে ভূমিকা রাখা নতুন বাংলাদেশ গড়ার আত্মপ্রত্যয়ী তরুণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদ পরিবার, আহত ও কারাবন্দীদের সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং ট্রাফিকের কাজ করা শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সহকারী সচিব তরুণদেরকে নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। নতুন করে যেন কোন স্বৈরাচার তৈরি হতে না পারে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং মেধাবৃত্তিক কর্মমুখী প্রজন্ম গড়ে তুলতে সবাইকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে বলে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন শহীদ ও আহত পরিবারের প্রতিটি সদস্য আমাদের পরিবারের সদস্য। তাদের সুখে-দুখে পাশে দাঁড়াতে হবে। যে কোন উৎসব আয়োজনে তাদেরকেও পাশে রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না স্বাধীন দেশ গঠনে তাদের আত্মত্যাগ সবচেয়ে বেশি।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন বিপ্লবে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা শিক্ষার্থীদের দেশ গঠনেও সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।
কাউন্সিলর হাজী ইব্রাহীম তার বক্তব্যে বলেন এই শিক্ষার্থীদের সচেতন ভূমিকায় দেশকে কল্যাণের পথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। আগামীর সুখী সমৃদ্ধ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।