দিঘলিয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে জমি দখল সহ একাধিক অভিযোগ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন।

এস.এম.শামীম দিঘলিয়া, খুলনা।

দিঘলিয়া উপজেলার এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি দখল ও পাকা স্থাপনা করে দোকান ভাড়ায় দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একাধিক পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরে গতকাল ৮ ই সেপ্টেম্বর ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ। এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্কর বিদ্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে সরকারি খাস খতিয়ানের চন্দনীমহল মৌজার ৮নং খতিয়ানে ৪২৯৪ দাগে ১শতক,৪২৯৫ দাগে ১শতক জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।একই খতিয়ানের ৪৫৬৬ নং দাগে ৮৬ শতক ও ৪৫৬৭ দাগে ১৯ শতাংশ বিদ্যালয়ের জমি জোর পূর্বক দখল করে চাষাবাদ করছেন। এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন বলে গণ স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্কর বলেন, জমি দীর্ঘদিন যাবত অন্যের দখলে ছিল ২০১৬ সালে স্কুলের এ জমি দখল মুক্ত করা হয়। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জমি লিজ দেওয়া হয়েছে। লিজের অর্থ স্কুলের নিজস্ব তহবিলে জমা করা হয়।

এ ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় উক্ত বিদ্যালয়ের পাশে থাকা সরকারি জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ ও সরকারি ড্রেন বন্ধ করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। যেখানে রয়েছে সারিবদ্ধভাবে ৭ টি দোকান যার প্রত্যেকটি দোকানে লাখ টাকা করে এডভান্স নেয়া হয়েছে।

এবং প্রতিটি দোকানে ভাড়া মাসিক ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা এবিষয়ে চন্দনীমহল এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্কর এর সাথে ফোন কলে কথা বললে তিনি বলেন সবকিছুই ম্যানেজিং কমিটির দ্বারা সমন্বয় করে করা হয়েছে। এবং উক্ত দোকান ভাড়ার অর্থের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন উক্ত টাকা স্কুলের উন্নয়নের খাতে রেজুলেশন করে ব্যায় করা হয়।

চন্দনীমহল এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্কর তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে তার মেয়ে কে ও বিদ্যালয়ে চাকরি দিয়েছেন।
উক্ত স্কুলের কর্মচারী আব্বাস আলী হাওলাদার জানান ৫৭ হাজার টাকা করে প্রতি ৫ বছরের জন্য লিজ নিয়ে উক্ত ৮৬ শতক জমিতে তিনি চাষাবাদ করে আসছে যা কিনা প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্কর এর সাথে সমন্বয় করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *