স্বাধীন আলম হোসেন,নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের নলডাঙ্গায় স্কুলছাত্রী মরিয়ম খাতুন (লাবনী)কে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার হরিসপুর গ্রামের মৃত জাহের আলী শেখের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে বাবু শেখ ওরফে কালু শেখ(৪৯) ও তার সহযোগী নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত হাজি সামসুদ্দিনের ছেলে রইচ উদ্দিন সরদার(৬২)কে যাবতজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
একই সঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করে ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯শে আগস্ট-২৪) দুপুর ১২টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
উল্লেখ্য যে,এ মামলায় পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে স্থানীয় পাঁচজনের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন,একই এলাকার সোহাগ,রাকিব হোসেন,আলামিন,জিয়ারুল ওরফে জিয়া ও জামাল হোসেন।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদ কর্মীদের জানান, ২০১৪ সালের ৬ মে রাতে নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে স্কুলছাত্রী মরিয়ম খাতুন(লাবনীর)ঘরে মই বেয়ে ঢোকে দুর্বৃত্তরা। তারা লাবনীকে ধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘরে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ অবস্থায় তদন্ত শেষে পুলিশ স্থানীয় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৯ সালের ১৯শে অক্টোবর নাটোর রেল স্টেশন থেকে বাবু শেখ আটক হওয়ার পর বেরিয়ে আসে নাটোরের বিভিন্ন স্থানে ৮ নারীকে ধর্ষণ ও হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১ নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার আসল রহস্য। পুলিশের কাছে এসব ঘটনার কথা স্বীকার করেছিল বাবু শেখ।
পরে পুলিশ তদন্ত শেষে সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন। এ মামলায় পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে স্থানীয় পাঁচজনের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।