রাসেদ বিল্লাহ চিশতীঃ
টানা ভারী বর্ষণে নোয়াখালীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত কয়েক দিনে টানা বর্ষণে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ। সদর উপজেলা ও সুবর্ণচরের উপকূলী অঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণে প্লাবিত হচ্ছে রাস্তাঘাট, ফসলী জমি, মৎস খামার, গরুর খামার, ঘর বাড়িসহ শতশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫/৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নোয়াখালী জেলার অন্তত ২০ লক্ষ বাসিন্দা। টানা ভারী বর্ষণে সদর উপজেলার খলিফারহাট অঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে খলিফার হাটের আশেপাশের রাস্তাঘাট, ফসলী জমি, মৎস খামার, গরুর খামার, ঘর বাড়িসহ শতশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৮/৯ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে খলিফার হাট অঞ্চলের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। বন্যায় পানি বন্দী মানুষের জন্য প্রয়োজন শুকনো খাবার সরবরাহ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন বিতরণ করা প্রয়োজন। নেই ত্রাণ সহায়তা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গৃহীত কর্মসূচিঃ সদর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, সাইক্লোন সেন্টার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আজকে খলিফার হাট বারাহীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবপুর মাদ্রাসা, খলিফার হাট ফাজিল মাদ্রাসা, খলিফার হাট উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামহরিতালুক প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী আবদুল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানিবন্দী মানুষজ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা যায়।
বন্যা দুর্গতদের পাশে দাড়ানোর আহবান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দুর্নীতি বিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থার জেলা সভাপতি কাজী শিব্বির আহমেদেরঃ তিনি উদ্যেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বর্ষা মৌসুমে বন্যার্তদের পাশে দেশব্যাপী সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সরব উপস্থিতি চোখে পড়লেও এবারের বন্যায় নোয়াখালীতে কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের কোন কর্মসূচির দেখা নেই। তিনি মনে করেন, বন্যায় পানি বন্দী মানুষের জন্য প্রয়োজন শুকনো প্রস্তুতকৃত খাবার সরবরাহ, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ, পানিবাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতন তৈরি করা ও স্যালাইন বিতরণ, উদ্ধার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা, বিনামূল্য ওষুধ বিতরণসহ ব্যাপক ত্রান সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি পালন করা প্রয়োজন। সদর উপজেলা ও সুবর্ণচরের উপকূলী অঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণে প্লাবিত হচ্ছে রাস্তাঘাট, ফসলী জমি, মৎস খামার, গরুর খামার, ঘর বাড়িসহ শতশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫/৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নোয়াখালী জেলার অন্তত ২০ লক্ষ বাসিন্দা।