বিআলদিনের চেরাগে বদলে গেছে ভাতের হোটেল এর মালিক শাহিনের জীবন।

নগরীর খানপুর ব্রাঞ্চ রোড এলাকার মৃত গণি মিয়ার পুত্র শাহীন ওরফে বুইট্টা শাহীন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সন্ত্রাসী মাকসুদের ছত্রছায়ায় নারায়ণগঞ্জের ড্রেজার ব্যবসায় ঠাঁই হয় শাহিনের। সেই থেকেই শুরু

হাজার হাজার টন পিতল ও তামাকে লোহা বানিয়ে বিক্রি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে রীতিমতো আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে সে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাতারাতি যারা বড়লোক হয়েছে তাদের মধ্যে শাহিন অন্যতম। অথচ, একসময় সে ছিল ভাতের হোটেলের মালিক। ড্রেজার ব্যবসায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাড়ি গাড়ি সহ অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছে বুইট্টা শাহিন। বন্দরের লক্ষণখোলায় রয়েছে তার বাগান বাড়ি। সূত্র জানায়, এই বাগান বাড়িকে রিসোর্টে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা ছিল। ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর ওই পরিকল্পনা থেকে ফিরে এসেছে সে। তাই এখন কাজ বন্ধ করে রেখেছে শাহিন। এই বাগানবাড়ি করতে অজস্র মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে বুইট্টা শাহিন। ইচ্ছে না থাকলেও বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে বেশিরভাগ মানুষ। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া শাহীন বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নুরুল আমিন মাকসুদের ছত্রছায়ায় নারায়ণগঞ্জে ড্রেজার ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এক সময়কার ভাতের হোটেল পরিচালনা করা শাহিন এখন শতকোটি টাকার মালিক বলেও খবর পাওয়া গেছে। তথ্যদাতারা বলছেন, আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যাওয়ার মতো করেই বদলে গেছে তার জীবন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় এখনো ড্রেজার

এর ব্যবসা পরিচালনা করছে তিনি!

অর্থাৎ হাজার টন পিতল ও তামাকে লোহা হিসেবে বিক্রি দেখাতো সে। পুরাতন যেন পিতলের দাম ৪শ’ থেকে এক হাজার টাকা আর তামার কেজি ১৩শ’ টাকা হলেও এগুলোকে লোহা হিসেবে দেখিয়ে কেজিপ্রতি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দেখাতো লের শাহিন। সেক্ষেত্রে দুর্নীতির মাধ্যমে ১ টন পিতলকে লোহাতে রূপান্তরিত করার বস্থা মাধ্যমে শাহিনে লুফে নিতো প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। ১ টন তথাপি ১ হাজার কেজি শক্ষা পিতলের মূল্য ১০ লক্ষ টাকা হলেও সেগুলোকে লোহা দেখিয়ে সে বিক্রি দেখাতো মাত্র ৯০ হাজার টাকা। সেই হিসেবে টনপ্রতি পিতলে সে লুফে নিতো এক ৯ লাখ দশ হাজার টাকা। একইভাবে তামার বেলাতেও প্রতি টনে দুর্নীতি করে প্রাগি শাহিন হাতিয়ে নিতো অন্তত ১২ লক্ষ টাকা। এক হাজার কেজি তামার মূল্য ছবি আদৌতে ১৩ লক্ষ টাকা হলেও সেগুলোকে লোহা দেখিয়ে সে বিক্রি দেখাতো পূর্বে মাত্র ৯০ হাজার টাকা। অর্থাৎ তামার টন থেকে সে হাতিয়ে নিতো ১২ লক্ষ দশ দশ হাজার টাকা। এভাবেই দিনের পর দিন নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে গত ২৫ থেকে ৩০ বছরে সে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *