রংপুরের মিঠাপুকুরে নিজ এলাকায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন এনআরবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তার

শহিদুল ইসলাম রংপুর

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ৬ কাফ্রিখাল ইউনিয়নের বুজরুক তাজপুর গ্রামে মোঃ মামুনুর রশিদ নিজ এলাকায় অসহায় রিক্সা,ভ্যান শ্রমিক ও গার্মেন্টস শ্রমিকের নিকট থেকে চেকের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকে।

বিভিন্ন সূত্রে ও ভুক্তভোগির অভিযোগ থেকে জানা যায়, এই মোঃ মামুনুর রশিদ কখনো যুবজোট নেতা,কখনো শিবির ক্যাডার,কখনো আওয়ামী যুবলীগের ক্যাডার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন ও টাকার লাভ দ্বিগুন হবে এই মর্মে নিজ এলাকার রিস্কাভ্যান শ্রমিক,ঢাকায় অবস্থানরত গার্মেন্টস শ্রমিকের নিকট নিজ নমনীয় বালারহাট কৃষি ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টের চেক দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এসেছে।

সরজমিনে কথা হয় ভুক্তভোগী ফিরোজ মিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন আমার বাবা ভিক্ষা করে খেতেন আমি খুব কষ্ট করে মানুষ হয়েছি ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করি,মামুন আমাদের এলাকারই ছেলে সে আমাকে আমার উপার্জিত টাকা বৃদ্ধি করে দেবে এই মর্মে দেড় লক্ষ টাকায় প্রতিধানের মৌসুমে ২০ মণ ধান আমাকে দিবেন এই মর্মে শুরু জামানত স্বরূপ তার নিজ নমনীয় বালারহাট কৃষি ব্যাংকের একটি চেক আমাকে দেন।আমার লাভের টাকাও নেই আসল টাকা ও সে দিচ্ছে না দয়া করে রিপোর্টার সাহেব আমার টাকাটা তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এমন ভাবে কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বললেন স্থানীয় ফিরোজ মিয়া তিনি আরো বলেন বর্তমান তিনি এনআরবিসি ব্যাংকে কর্মরত আছেন ফোন দিলে চেক দিয়েছি মামলা করে টাকা নেন এমন হুমকি বরাবরেই দিয়া আসছেন এই মামুনুর রশিদ।

কথা হয় রিক্সা ভ্যান শ্রমিক আনিসুল ইসলামের সাথে,মামুনুর রশিদ আমার এলাকায় বাড়ি একই সাথে আমরা ঘুরতাম ফিরতাম এলাকায় তার পরিবারের সুনাম রয়েছে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার মেয়ের বিয়ের দান দেওয়ার এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে আমার নিকট থেকে গ্রহণ করেন এখন টাকা চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কেটে দেন তিনি ভীতি প্রদর্শন করেন আমার মেয়ের বিয়ে দিয়েছে অদ্যবদি দান দিতে পারিনাই।আমার কোন দাবি নেই কোন লাভ চাইনা আমার টাকাটি উদ্ধার করে দেন।এভাবেই আবেগঘন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে কথাগুলো বললেন রিক্সা ভ্যান শ্রমিক আনিসুল ইসলাম।

উল্লেখ্য : অডিও সমস্ত তথ্য প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষণ রয়েছে।

তথ্য প্রতিবেদন অনুসন্ধানে দেখা যায়,এই পরিবারটি স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়া কারণে ও বড় ভাই সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ার সুবাদে এলাকায় বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং বিজ্ঞ আদালত রয়েছে মামলা। এই মামুনুর রশিদ স্থানীয় এলাকায় কখনো যুব জোট, কখনো যুবলীগ,রাজনীতি করতেন পিতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম বাবু মিয়া গ্রাম বুজরুক তাজপুর থানা মিঠাপুকুর জেলা রংপুর বর্তমান এনআরবিসি ব্যাংকে কর্মরত রয়েছে মামুনুর রশিদের স্ত্রী প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা হওয়ার সুবাদে রংপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন মর্মে জানা গেছে। চেক ও টাকার বিষয়টি নিয়ে একাধিক কথা বলে সত্যতা পাওয়া যায় এবং তার স্ত্রীর প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ঘুস বাণিজ্যে নিয়োগ হয়েছে বলে জানা যায়,

এমন একজন প্রতারক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি এনআরবিসি ব্যাংকে কর্মরত থাকতে পারেন সেটাও ভেবে দেখবার বিষয়। এই অসাধু প্রতারকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে এনআরবিসি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ম্যানেজমেন্ট শাখার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনাদের সম্মান অখুন্ন রাখার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষিত প্রতিবেদকের নিকট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *