লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার লতাবর একরামিয়া রহমানিয়া আলিম মাদরাসার বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাৎ করায় উহা তদন্তে সাপেক্ষে আত্মসাৎকৃত অর্থ আদায়সহ আত্মসাৎকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ৫নং চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর মৌজার মৃত- মজিবর রহমানের পুত্র ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ দেলওয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এ লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, আমি মোঃ দেলওয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য, পিতা- মৃত মজিবর রহমান, সাং- লতাবর, উপজেলা- কালীগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাট। অত্র কালীগঞ্জ উপজেলার ৫নং চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর মৌজায় মাদরাসাটি অবস্থিত। উক্ত মাদরাসার নামে গ্রামবাসীর দেওয়া প্রায় ১০/১২ বিঘা জমি রহিয়াছে। যাহার ফসলের অর্থ দ্বারা মাদরাসার উন্নয়নমূলক কাজ করিতে পারে। বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, গত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও যেকোন পদের ব্যক্তি সভাপতির দায়িত্ব পালন করিতেন। তারই ধারাবাহিকতায় অত্র মাদরাসার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, পিতা- মৃত হোসেন আলী, লতাবর মাদরাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাদরাসার অধ্যক্ষ জনাব গোলাম রব্বানীসহ একজোট হইয়া মাদরাসার বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাৎ করেন। মাদরাসার খাত সমূহের নাম ও গ্রহণকৃত অর্থের পরিমাণ ১। শিক্ষক নিয়োগের পূর্বে প্রতিটি পদের আগ্রহীকে বলা হয় যে, মাদরাসার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য অর্থ দিতে হইবে। (ক) সহকারী সুপার ১জন, অর্থের পরিমাণ ২,৫০,০০০/-, (খ) শিক্ষিকা ১জন, অর্থ ৪,৫০,০০০/-, (গ) আয়া ১জন অর্থ ১০,০০,০০০/-, (ঘ) প্রহরী ১জন অর্থের পরিমাণ ৩,০০,০০০/- এবং (ঘ) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী ১জন অর্থের পরিমাণ ৩,০০,০০০/-, ২। মাদরাসার মাঠের গাছ বিক্রয় বাবদ ২,৫০,০০০/-, ৩। মাদরাসার ফসলী জমি বাৎসরিক ডাক করে দেন প্রতি বৎসর ১,০০,০০০/- করে ১০বৎসরে ১০,০০,০০০/-, ৪। মাদরাসা সংলগ্ন ওয়াক্তি নামাজি ঘর নির্মাণ ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বাবদ গত ২২-২৩ ও ২৩-২৪ অর্থ বছরে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তোলণকৃত টাকার পরিমাণ ১,৭০,০০০/-। মাদরাসার চারটি খাতে সর্বমোট ৩৭,২০,০০০/- (সাইত্রিশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা মাদরাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ গ্রহণ করিয়া মাদরাসার কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না করিয়া আত্মসাৎ করায় মাদরাসার উন্নয়নের পরিবর্তে ভীষণ ক্ষতি করিয়াছেন। তাই মাদরাসার বিভিন্ন খাতের আত্মসাৎকৃত অর্থ আদায়সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অত্র দরখাস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় জমা দেয়া হয়।
লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন যে, অনুগ্রহ পূর্বক অত্র আবেদন পত্র নিজ আমলে গ্রহণ করিয়া মাদরাসার স্বার্থে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক মাদরাসার বিভিন্ন খাতের আত্মসাৎকৃত অর্থ আদায়সহ আত্মসাৎকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গোলো ১৯৭১ সালের স্থাপিত এই প্রতিষ্টান একটা মসজিদ নেই শিক্ষক ও ছাত্ররা মাটে খোলা আকাশের নিচে নামাজ পড়ছেন প্রতিষ্ঠান এ বিভিন্ন সময় নিয়ম বহির্ভূত গাছ কর্তন সহ নিয়োগ বাণিজ্য সেচ্ছাচারীতা বই বিক্রি টাকা আত্মসাৎ করে সেটি প্রতিষ্ঠানে দিতে চেয়ে তালবাহানা চলছে,০১-০৯-২৪ প্রতিষ্ঠান এ এসেছিলো পরবর্তীতে তিনি ০৮-৯-২৪ তারিখ পর্যন্ত হাজিরায় অবৈধভাবে স্বাক্ষর প্রদান করেন তিনি। বর্তমানে পলাতক অবস্থায় আছেন।
এ বিষয়ে লতাবর একরামিয়া রহমানিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানীর বক্তব্য তিনি টাকা পয়সার বিষয় কিছু জানেন না।
এ বিষয় উপজেলা কর্মকর্তা জহির ইমাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কারী কর্মকতা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।