সোয়াই নদী রক্ষা এবং দৃষ্টি নন্দন শ্যামগঞ্জ গড়ার লক্ষ্যে “আমরা শ্যামগঞ্জবাসী”র আলোচনা সভা

মোঃ মনিরুল ইসলাম খান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বাংলাদেশের মানচিত্র থেকেই হারিয়ে গিয়েছিল সোয়াই নামক নদীটি। স্বাধীনতার পর থেকেই একটা শ্রেণি নদীটি ধীরে ধীরে দখল করতে শুরু করে। একটা সময় তারা সফলও হয়। তবে নদীটি রয়ে গিয়েছিল মানুষের মনে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মানচিত্রে। তাই আবারও দৃশ্যমান হচ্ছে সোয়াই নদী। নদীটি উদ্ধার ও খননের দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরে দফায় দফায় আন্দোলন ও মানববন্ধন করে আসছেন নদী তীরের স্থানীয় বাসিন্দারা। নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার একাংশ, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শ্যামগঞ্জ বাজার, মইলাকান্দা ইউনিয়ন, তারাকান্দা উপজেলার কিছু অংশ, নেত্রকোনা সদরের কিছু অংশজুড়ে সোয়াই নদীটির অবস্থান। ২১ মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার মূলত শ্যামগঞ্জ বাজারকে কেন্দ্র করেই সোয়াই নদী রক্ষার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামগঞ্জে অবস্থিত হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। “আমরা শ্যামগঞ্জবাসী” এর প্রদান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ছাত্র সংসদের সাবেক নির্বাচিত ভিপি মোঃ মারিয়াম সোহান সহ এ সময় সময় উপস্থিত ছিলেন, গোহালাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এর কনিষ্ঠ পুত্র জনাব আসাদুজ্জামান ডানু। আর উপস্থিত ছিলেন শ্যামগঞ্জ অঞ্চলের ছাত্র সমাজ, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

শোয়াই নদীর খনন কাজ যেন ঠিক মতো হয়, এটাই তাদের মূল লক্ষ্য। তাদের দাবী নদীর শ্যামগঞ্জ অঞ্চলে শোয়াই নদী সাধারণ জনসাধারণের দখলে আছে। কিন্তু এই জমি ছাড়তে তারা এখন পর্যন্ত অনীহা দেখাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মানচিত্র অনুযায়ী এইসব ভূমিদস্যুদের হাত থেকে দখলকৃত জমি ছাড়িয়ে নিয়ে, নদীর সঠিক খনন কাজ করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান, শ্যামগঞ্জের তরুণসমাজ। নিয়মের বাইরে কোনো দখলদারের জমি যদি খনন না হয় তাহলে শ্যামগঞ্জে দফায় দফায় আন্দোলন করবে বলে জানান আলোচনার নেতৃবৃন্দ। এসময় শ্যামগঞ্জ বাজারের সুন্দর্য বৃদ্ধি করতে শিশু পার্ক বা দৃষ্টি নন্দন কিছু স্থাপনা তৈরী করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *