২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ০৬ জন কে যৌথ অভিযানে আটক করেছে র‌্যাব-৫ এবং র‌্যাব-১১

রাজশাহী প্রতিনিধি নূরুন নবী :

র‌্যাব নিয়মিত মাদক, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারীসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায়, র‌্যাব-৫ এবং র‌্যাব-১১ এর চৌকশ আভিযাানিক দল নওগাঁয় গ্রাহকের সঞ্চয় প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ডলফিন নামে এক এনজিও‘র মালিক ১। মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), পিতা-মোঃ নাছির উদ্দিন মন্ডল, সাং-ফতেহপুর কে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানধীন তারাব বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এবং ২। মোঃ রিপন (১৮), পিতা-মোঃ আব্দুল মজিদ, সাং-ফতেহপুর, ৩। মোঃ পিয়ার আলী (৪০), পিতা-মৃত গিয়াস উদ্দিন মন্ডল, সাং-রজাকপুর, ৪। মোঃ আতোয়ার রহমান আতা (৬০), পিতা-মৃত লায়ের উদ্দিন মন্ডল, সাং-ইকরতারা, ৫। মোছাঃ শিল্পি বেগম (৩৫), স্বামী-মোঃ পিয়ার আলী, সাং-রজাকপুর, ও ৬। মোছাঃ সুমি বেগম (৩২), স্বামী-মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সাং-ফতেহপুর, সকলের থানা ও জেলা-নওগাঁ গণকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে ডলফিন সেভিংস এন্ড ক্রডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (রেজিঃ নং-১২৪৩) নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতিমাসে তার এনজিও‘তে ২,০০০-২,৫০০/- টাকা মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন। ডলফিন এনজিও‘তে এলাকার অনেকেই সঞ্চয়পত্র খোলার নামে অল্প অল্প করে বড় অংকের টাকা আমানত হিসেবে জমা করে। ডলফিন এনজিও‘র অফিসে গ্রাহকগণ জমানো টাকার মুনাফা প্রথম তিন মাস পেলেও পরবর্তীতে মুনাফা বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায় ডলফিন এনজিও।

তথ্যমতে, আব্দুর রাজ্জাকসহ তার বোন মোছাঃ শিল্পি বেগম, স্ত্রী মোছাঃ সুমি আক্তার, মোঃ রিপন এনজিও‘র সভাপতি পিয়ার আলী, ম্যানেজার মোঃ আতোয়ার রহমান আতা এবং ক্যাশিয়ার মোঃ রিপন হোসেন এলাকার জনসাধারণের কাছ থেকে ১ লাখ টাকায় ২ হাজার টাকা লাভ দেয়ার কথা বলে উক্ত এনজিও‘তে ৩০০ জন এর বেশি গ্রাহককে সঞ্চয় রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। পরবর্তীতে গ্রাহকগণ সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে গেলে আজ আসো কাল আসো বলে গ্রাহকদের টাকা দিতে কালক্ষেপন করতে থাকে।

ডলফিন এনজিও‘র মালিক আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পি বেগম, সুমি আক্তার, পিয়ার আলী এবং রিপন গ্রাহকদের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার পর থেকেই র‌্যাব-৫ এর গোয়েন্দা দল তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। র‌্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং এর সহায়তায় র‌্যাব-৫ এবং র‌্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল আব্দুর রাজ্জাক, রিপন, পিয়ার আলী, আতোয়ার, শিল্পি বেগম এবং সুমি আক্তার কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *