টেকনাফে শিশু ছাত্র সোয়াদ কে উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে পরিবারের পক্ষথেক সংবাদ সম্মেলন

জামাল উদ্দীন – কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ব্যর্থতায় বিগত ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি বলে অভিযোগ  উঠেছে  হ্নীলা র মাদ্রাসা  ছাত্র আব্দুল্লাহবিন সোয়াদ(৬)
এব্যাপারে তার পরিবার ও মাদ্রাসা র পক্ষথেকে হ্নীলা ইউপিচেয়াম্যান রাশেদমাহমুদআলীর নিজস্ব কার্যালয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন  করাহয়েছে।
সংবাদসম্মেলনে জানানো হয় গত ৯ মার্চ দুপুর ১২ টারদিকে  হ্নীলা পুর্বপানখালীস্থ আবুহুরায়রা (রাঃ) মাদ্রাসার ১মশ্রেণীর ছাত্র একই এলাকার  কাতার প্রবাসী হাফেজ আব্দুল্লাহর ছেলে সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) কে পুরাতন বার্মাইয়া উম্মে সালমা নামক এক মহিলার নেতৃত্বে কক্সবাজারের লার পাড়া এলাকার সিএনজি চালক মোঃ নাসিরের সহায়তায় অপহরণ করাহয়।
এঘটনা জানাজানি হওয়ার পর টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে  ছেলেটির মাতা নুরজাহান বাদী হয়ে ভীকটিম কে উদ্ধারের আবেদন জানিয়েএকটি অভিযোগ  দায়ের করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে  টেকনাফ  থানা পুলিশের  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে এস আই সুদর্শনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে  কক্সবাজার থেকে ভীকটীমকে অপহরণে ব্যবহারিত সিএনজি গাড়ী জব্দের পাশাপাশি চালক নাসির কে আটক করাহয়।

পরে তার স্বীকারোক্তিতে অপহরণ কারী বার্মাইয়া
মহিলা উম্মেসলমা( ৩০) কে ও আটক করাহয়।সাংবাদিকদের  একপ্রশ্নের জবাবে মামলার বাদী নুরজাহান  ও তার আত্নীয় স্বজন বলেছেন টেকনাফ  থানা পুলিশ অপহরণ কারী মহিলা ও  সিএনজি চালক কে  আটকের পর জামাই আদরে থানায়  রেখে কোন তথ্য উদঘাটন নাকরে দুইদিন পর পর্যায়ক্রমে কোর্টে চালান দিয়ে দেয়।

সংবাদসম্মেলনের তাদের আরো অভিযোগ অপহরণে ব্যবহারিত গাড়ীও ড্রাইভার এমনকি নেতৃত্ব দান কারী মাহিলা কে আটক করার পর কেন ভিকটিম সোয়াদ কে উদ্ধার  নাকরে তাদের কোর্টে চালান করাহল।
অথচ ভিকটিম কে উদ্ধারে  অভিযান করবে  বলে টেকনাফ  থানা পুলিশ  বার বার  আমাদের কাছ থেকে গাড়ী নিয়েছে কিন্তু কোন অভিযানও পরিচালনা করাহয়নি উল্টো  আমাদের  গাড়ী দিয়ে অপহরণ  কারীদের এসির বাতাস দিয়ে জামাই আদরে কোর্টে পাঠিয়েদিয়েছে।।
তাছাড়া থানায় থাকা অবস্থায় অপহরণ  কারী মহিলার বাচ্চার  জন্য অভিযোগের বাদী র কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্যন্বাসও কিনে দেয়।এই অপহরণ  কারীদের চিহ্নিত অপহরণ কারী চক্র প্রমান পাওয়া সত্বেও তাদের সাথে পুলিশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ রীতিমতো এলাকাসী কে ক্ষুব্ধ করে তুলেছেন। এদিকে ভীকটিমের পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অপরিচিত অনেক মোবাইল নাম্বার থেকে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। টাকা না পাঠালে ভিকটিম সোয়াদের লাশ পাঠানো হবে বলে হুমকি দেয়।
এমতাবস্থায় ভীকটিমের পরিবারও আত্নীয়স্বজন ভীকটিম সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ কে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ,র‍্যাব-১৫ ও গোয়ন্দা বিভাগের লোক জনের সর্বাত্নক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এবিষয়ে হ্নীলা ইউপি চেয়াম্যান রাশেদমাহমুদ আলী বলেছেন ভিকটিম কে উদ্ধারে টেকনাফ থানা পুলিশের সর্বাত্নক অভিযান কামনা করছি।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ উসমানগণি বলেছেন— গতরাত থেকে সেহেরীর সময় পর্যন্ত এসপি সার্কেল সহ থানায় আটককৃত ৫ জন কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাদের স্বীকারোক্তিতে ভীকটিম কে উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু পুলিশ কোন আসামী কে আটকের পর ২৪ ঘন্টার বেশী থানায় রাখার বিধান না থাকায় তাদের কে আদালতে প্রেরন করাহয়েছে। #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *