পূর্ব শত্রুতার জেরে মারপিট ও স্বর্ণালংকার লুটঃ হাসপাতালে কাতরাচ্ছে শ্রীমতি কল্পনা রানী

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামে দুই সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারামারি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬-০৩-২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ৯.৩০মিনিটে প্রকাশ্য দিবালোকে উক্ত মারামারি ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মামলার বাদী শ্রী উকিল চন্দ্র রায় (৩৫) এর স্ত্রী শ্রীমতি কল্পনার রানী (৩০) লালমনিরহাট সরকারি সদর হাসপাতালের ৫৩নং বেডে কাতরাচ্ছে। তার ডান হাতে প্রচন্ড ব্যথা এবং শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। কাঁদো কাঁদো স্বরে শ্রী কল্পনা রানী এই প্রতিবেদককে জানায়, ওরা দিনে দুপুরে আমার শ্লীলতাহানি করে ও আমার কাপড় ছেড়ে দেয়। আমি কিছুই করি নাই শুধু শুধু মাইর খেলাম। আমি একজন মা হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।

মামলার এজহার সূত্রে আরো জানা যায়, ঘটনার দিন শাক উঠানোকে কেন্দ্র করে, পূর্ব শত্রুতা জের ধরে উল্লেখিত আসামি ১. শ্রী কামিনী কান্ত রায় ওরফে জুরেন(৫৫), পিতা মৃত শ্যামসুন্দর বর্মন, ২. শ্রী মিলন চন্দ্র রায়(৩০) (৩৪), ৩. শ্রী মুকুল চন্দ্র রায়(৩৪), ৪. শ্রী দীনবন্ধু রায়(২৮), ৫. শ্রী প্রশান্ত চন্দ্র রায়(৩৫) ও স্ত্রী ভবানী কান্ত রায়সহ একটি সন্ত্রাসীদল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাক তোলাকে কেন্দ্র করে শ্রী উকিল চন্দ্র রায়(৩৫) এর নিজ বাড়িতে আক্রমণ করে। এসময় উকিলের স্ত্রী, ছোট ভাই শ্রী নিখিল চন্দ্র রায় ও কাকাতো ভাই কনক চন্দ্র রায়কে বেধাকর লাঠিপেটা করে এবং উকিলের স্ত্রী শ্রীমতি কল্পনা রানী’র গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন চিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

উকিল চন্দ্র রায় জানায়- আমার কাকাতো ভাই কনক চন্দ্রকে তারা আমার বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। আর আমার ছোট ভাই নিখিল রায় ও আমার স্ত্রীকে মারপিট করে ফেলে রাখে। এলাকাবাসীর সহ্য করতে না পেরে আহতদের ইজিবাইকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে আসামীগণ পালিয়ে যায় এবং থানা পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। পরে আমি চিকিৎসার শেষে বিবাদীগনের নামে মামলা দায়ের করি।

উকিল চন্দ্র রায় বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ও স্বর্ণালংকার লুটসহ আমার ভাইদের উপর যে মর্মান্তিক হামলা হয় আমি তার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।

উল্লেখ্য, উভয়পক্ষই মামলা দায়ের করায় তদন্তের জন্য দুটি মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে লালমনিহাট সদর থানা পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *